হুবহু নৈহাটির ‘বড় মা’ সেজে তাক লাগালেন দমদমের রিখিয়া

আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই বাঙালির আলোর উৎসব দীপাবলি। আর এদিনই আরাধনা করা হয় মা কালীকে।দেবীর আরাধনার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল মা কালীর এমন এক রূপ, যা তাক লাগিয়ে দিল নেটিজেনদের।
হাজার বার তাকালেও কোনও সংশয় তৈরি হচ্ছে না মনে। চোখেও ধরা পড়ছে না, কোনও তারতম্য। শিল্পীর এত সূক্ষ্ম কারুকাজ। বার বার চোখ চলে যায় দেবীমূর্তির নয়ন যুগলে। শিল্পী কত পরম যত্নে চক্ষুদান করেছেন। দেবীমূর্তিই তো! আর সেখানেই রূপটান শিল্পী সোদপুরের মুক্তি রায়ের কিস্তিমাত।তাঁর হাতেই সম্ভব হয়েছে অসম্ভবের। নিপুণ হাতে মূর্তির আদল ফুটিয়ে তুলেছেন মানব শরীরে। আর মুক্তির একের পর এক চালে সমান ধৈর্যে ‘দেবী-সম মূর্তি’ হিসাবে নিজেকে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন দমদমের মডেল রিখিয়া রায়চৌধুরী।
ঠিক যেন হুবহু নৈহাটির বড়মা! সেই একই মুখাবয়ব। জ্বলজ্বল করছে দেবীমূর্তির দু নয়ন। বার বার নজর আটকে যাচ্ছে সেই নয়ন যুগলে। যেন পরম যত্নে চক্ষুদান করেছেন শিল্পী৷ শিল্পীর এত সূক্ষ্ম কারুকাজ দেখে সংশয়ই জাগছে না মনে।মানব মুখের ওপর আঁকা ছবিকে দেবীর আসল মুখ ভেবেই ভ্রমে পড়ছেন নেটজনতা৷ অনেকে ঠুকছেন প্রণামও।
জানা গিয়েছে, এই কাজের সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা চোখ বন্ধ করে বসে থাকতেন রিখিয়া। তুলিতে মায়ের আদল ফুটিয়ে তুলতেন মুক্তি। অসম্ভব ধৈর্য্য দু’জনেরই৷ তাঁদের কথায়, বড়মা আবেগের জায়গা। সেখানে কোন‌ওরকম ভুল-ত্রুটি হোক তাঁরা চাননি। তাঁদের সেই পরিশ্রমের রূপই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিঁখুত কাজের প্রশংসাও হচ্ছে সর্বত্র। হাজার বার দেখেও বিষ্ময়ে মুখ ফেরাতে পারছেন না জনতা। মুক্তি আর রিখিয়াকে ভরিয়ে তুলছেন সাধুবাদে।
মুক্তির কথায়, ‘‘বছর দশেক আগে প্রথম বার নৈহাটির বড় মায়ের পুজোয় যাই। ওই বিশাল মূর্তি আর তার ভাব দেখে আমার গায়ে কাঁটা দিয়েছিল। চোখে চলে এসেছিল জলও। সেই মায়ের রূপ ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম। প্রথমে ভয় করছিল। দ্বিধাও কাজ করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করে ফেললাম।’’ যাঁর শরীরে প্রতিমার আদল আঁকলেন শিল্পী, সেই রিখিয়ার অনুভব, তাঁরা এক অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন। আবেগে ভাসছেন।

Previous articleআইসিসি টি-২০ ব‍্যাটারদের র‍্যাঙ্কিং-এ পতন বিরাটের, অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে শাকিব
Next articleআলাপনকে খুনের হমকির তদন্তে হেয়ার স্ট্রিট থানা, বেপাত্তা প্রেরক গৌরহরি