বিজয়া সম্মেলন ঘিরেও বিজেপির ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ ফের বেআব্রু

bjp

কথায় আছে ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’। আর এ রাজ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলা যেতে পারে সবক্ষেত্রেই বেআব্রু হয়ে পড়ছে। বিজেপির বিজয়া সম্মেলন ঘিরেও দলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। এদিন জাতীয় গ্রন্থাগারে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলার বিজয়া সম্মেলন ছিল। অথচ তার আগে জাতীয় গ্রন্থাগার চত্বরেই দলের ওই জেলার সভাপতি শঙ্কর সিকদারের অপসারণ চেয়ে ফ্লেক্স টাঙানো হয়। সেখানে লেখা হয়— ‘তৃণমূলের দালাল, লম্পট, চোর শঙ্কর সিকদারের অপসারণ চাই’।

আরও পড়ুন- বিজয়া সম্মেলন ঘিরেও বিজেপির ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ ফের বেআব্রু

রাতারাতি ড্যামেজ কন্ট্রোলে ওই কাণ্ডকে ‘দুষ্কৃতীদের অপপ্রচার’ বলে দাবি করে সভাস্থলের বাইরে পাল্টা ফ্লেক্স টাঙানো হয়।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাফাই, “যাঁরা এগুলো করেছেন, তাঁদের পিছনে তৃণমূলের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে হয়। বিজেপি কর্মীরা এ সব করবেন না। আর যদি কেউ করে থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও তার এই হাস্যকর যুক্তি কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়নি। কেননা, বিজেপি নেতার অপসারণে শাসক দলের কোন ফায়দা তা নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি শুরু হয়ে যায় দলের অন্দরেই। কেউ কেউ কেউ আবার বলতে শুরু করেন , নতুন রাজ্য সভাপতিও প্রাক্তনের দেখানো পথেই এগোতে চাইছেন!

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ‘দলবিরোধী কাজে লিপ্ত’দের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “বিধানসভা ভোটের পরে অনেকে ভয় পেয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার ভয়ে অন্য দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ না খুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বলছেন। যাঁরা এ রকম করছেন, তাঁদের বিজেপি করার দরকার নেই। হয় তাঁরা চলে যান, নয়তো দলই তাঁদের বের করে দেবে। পয়সা খেয়ে তৃণমূলের দালালি করে দলের ভিতর থেকে কেউ এই দলের ক্ষতি করতে পারবে না।” দিলীপবাবুর এই যুক্তিও দলের অন্দরে ধোপে টেকে নি। আদি বিজেপি তো বলতে শুরু করে, এমন হাস্যকর অযৌক্তিক কথা বলা এবার বন্ধ করুন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। নাহলে এ রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব ফ্লেক্সে পরিণত হবে।

Previous articleরাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, বেড়েছে পজিটিভিটি রেটও
Next articleসেপ্টেম্বরেই কোভিডে মৃত্যু ৪৪ হাজার ২৬৫ জনের! ফের দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের পথে রাশিয়া