সুপ্রিম রায়ে স্বস্তিতে ব্যবসায়ীরা, মিলল পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর অনুমতি

Supreme Court

হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) স্বস্তি পেলেন বাজি ব্যবসায়ীরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়ে দিল কালী পুজোতে বাজি পোড়ানো(firecracker) যাবে। সে ক্ষেত্রে বাজি হতে হবে পরিবেশ বান্ধব। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এই রায়ে স্বস্তিতে রাজ্যে বাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৩১ লক্ষ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক।

গত শুক্রবার একটি জনস্বার্থ মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যে কোনরকম বাজে বিক্রি ও পোড়ানো যাবে না। সেই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বাজি ব্যবসায়ীরা। অবশেষে সেখানেই মিলল স্বস্তি। সোমবার এই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় বাজি বিক্রি ও পোড়ানোতে কোনওরকম আপত্তি নেই। তবে প্রশ্ন যেটা উঠছে তা হল পরিবেশ বান্ধব বাজি চেনার উপায় কি? কীভাবেই বা সাধারণ বাজির থেকে গ্রিন ক্র্যাকার্স বা সবুজ বাজিকে আলাদা করে চিহ্নত করা যাবে, তা স্পষ্ট নয় এখনও।

আরও পড়ুন:নির্বাচন লড়তে আমি প্রস্তুত, তবে সিদ্ধান্ত মমতা দিদি নেবেন: বললেন লিয়েন্ডার পেজ

উল্লেখ্য, রং মশাল, তুবড়ি, ফুলঝুরির মত বাজি বানিয়ে ও বিক্রি করে এরাজ্যে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ৩১ লক্ষ্য শ্রমিক ও ব্যবসায়ী। দীপাবলি আলোর রোশনাইয়ের আগে হাইকোর্টের রায়ে তাদের জীবনে নেমে এসেছিল ঘোর অন্ধকার। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় এবার কালী পুজোয় কোনওরকম বাজি ফাটানো যাবে না। তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন বাজি ব্যবসায়ীরা।

 

Previous articleনির্ঘন্ট ঘোষণা ২০২২-এর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের, দ্বাদশের পরীক্ষা হবে পড়ুয়াদের নিজেদের স্কুলেই
Next articleশেওড়াফুলিতে ধুপ-মালা দিয়ে ট্রেন-পুজো হকারদের