Friday, August 22, 2025

নতুন করে আরও বড় পদক্ষেপের প্রস্তুতি আন্দোলনরত কৃষকদের

Date:

Share post:

আন্দোলনরত কৃষকরা নতুন করে আরও বড় পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে চলতি কৃষক আন্দোলন নিয়ে ঘরে-বাইরে তীব্র চাপের মধ্যে নরেন্দ্র মোদি সরকার (Narendra Modi Government)।

আরও পড়ুন-সাইবার সচেতনতা বাড়াতে তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের অভিনব উদ্যোগ কমিকসের বই

উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী (MP Varun Gandhi) কৃষক আন্দোলন সমর্থন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এর মধ্যে সংযুক্ত কৃষক মোর্চার (SKM) অন্যতম নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait) কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে, ২৭ নভেম্বর থেকে আমরা আন্দোলন আরও ব্যাপক করব। আন্দোলনের পরবর্তী কৌশল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে টিকায়েত বলেছেন, ২৭ নভেম্বর থেকে কৃষকরা আবার গ্রাম থেকে ট্রাক্টর নিয়ে  আন্দোলনের জায়গায় আসবেন। রাজধানী দিল্লিতেও (Delhi) পৌঁছে যাবেন।

একই সঙ্গে সড়কে থাকা তাঁবুগুলোকে কংক্রিটের দুর্গ দিয়ে আরও মজবুত করা হবে।
টিকায়েত ছাড়াও এসকেএম নেতা গুরনাম সিং চাদুনিও (Gurnam Singh Charuni) মোদি সরকারকে আক্রমণ করে বলেছেন, সরকার কয়েকদিন ধরে সীমান্ত খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। আলোচনা চলছে দীপাবলির (Diwali) আগেই রাস্তা পরিষ্কার করার। আমরা সরকারকে সতর্ক করতে চাই, যেন এই ভুল না করে। সরকার যদি রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করে, তবে এবার মোদির দোরগোড়ায় দীপাবলি উদযাপন করা হবে। কৃষকনেতা আরও বলেন, সবাই হেঁটে যাবে, প্রধানমন্ত্রী মোদির বাড়ির সামনে ক্যাম্প করবে। আমরা শান্তিতে বসে আছি। কেউ দাঙ্গা করছে না, ঝগড়া করছে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকার যদি কৃষকদের শ্লীলতাহানি করে, জোর করে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়, তবে আমরা আবার দিল্লির দিকে যাত্রা করব। সারা দেশের কৃষকরা দিল্লির দিকে মিছিল করবেন। তাই সকল বন্ধুদের সতর্ক থাকতে হবে। রাতে বার্তা পেলেও রাতেই দিল্লির দিকে হেঁটে যাব আমরা।

আরও পড়ুন-হোটেলে হোটেলে পুলিশি হানা, বিজেপির নোংরা রাজনীতিতে ত্রিপুরায় ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্প

উল্লেখ্য, সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ব্যারিকেড অপসারণ ও রাস্তা খোলার প্রক্রিয়া চলছে। তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ১১ মাস ধরে দিল্লি সীমান্তে ধরনায় বসেছেন কৃষকরা। সরকার ও কৃষকদের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে, কিন্তু এখনও কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী কৃষকদের ইস্যুতে প্রতিনিয়ত সক্রিয়। তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট বুঝতে হলে তাদের কথা শোনা দরকার। তাঁর ট্যুইটে বরুণ গান্ধী এই কথোপকথনের ছবি শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন, ফসলের ক্রমবর্ধমান খরচ, ন্যায্যমূল্য বা এমএসপি না পাওয়া, দেশে আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে হলে কথা বলার চেয়ে তাদের কথা শোনা বেশি জরুরি।

spot_img

Related articles

DHFC-র হাত ধরে বাংলায় ডুরান্ড আসুক, চাইছেন সঞ্জয়

মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল নেই। কিন্তু ডুরান্ড ফাইনাল ঘিরে বাংলা জুড়ে হৈচৈ। হবে নাই বা কেন, অভিষেক হওয়া ডায়মন্ডহারবার এফসিকে(DHFC)...

কেরালায় ‘গণধর্ষণে’র শিকার মহেশতলার তরুণী, সাহায্যে টিম পাঠালেন সাংসদ অভিষেক

বামশাসিত কেরালায় (Kerala) গণধর্ষণের শিকার বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক! নির্যাতিতা পাশে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek...

বেনজির! সাংবাদিক বৈঠক ছাড়াই জয়েন্টের মেধা তালিকা প্রকাশ, সফলদের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

বেনজির। নির্ধারিত সময়ের আগেই সাংবাদিক বৈঠক ছাড়াই ফল প্রকাশ করল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই...

রাজনীতি করতে বাংলায় ‘পর্যটক’ মোদির আগমনে প্রধানমন্ত্রীকে ৫ প্রশ্ন তৃণমূলের

ছাব্বিশের ভোটের (WB Assembly Election) কথা মাথায় রেখে নির্বাচন পূর্ববর্তী 'নাটক' করতে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেছে বিজেপির...