“মানুষের চোখে ধুলো দিতেই জ্বালানির দাম কমানোর নাটক”, দাবি কুণালের

দীপাবলির উৎসবের মধ্যেই হঠাৎ ঘোষণা, কালীপুজোর দিন থেকে কমেছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। রাজনৈতিক মহল বলছে, লোকসভা ও বিধানসভার উপনির্বাচনে দেশজুড়ে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। হিমাচল প্রদেশে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধির মূল্য দিতে হয়েছে। আগামী বছরই উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। বলা হচ্ছে, জনতার ক্ষোভ টের পেয়েই মোদি সরকার পেট্রল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে। পেট্রলে প্রতি লিটার পিছু ৫ টাকা এবং ডিজেল লিটার প্রতি ১০ টাকা হারে উৎপাদন শুল্ক কমানো হয়েছে। কালীপুজোর দিন থেকেই পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমেছে ৫ টাকা ও ১০ টাকা।

শুধু পেট্রোল-ডিজেল নয়, রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে কেরোসিনেরও লাগামছাড়া দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে মানুষের হেঁসেল ও পকেটে। তাই সাম্প্রতিক হয়ে যাওয়া উপনির্বাচনগুলিতে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এবার আইওয়াশ করতেই তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত।

কেন্দ্রের এমন ভূমিকা আসলে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার কৌশল বলেই দাবি করেছেন, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন একটি টুইটে কুণাল লেখেন, “তেল: নিজেরা দাম বাড়িয়ে সামান্য কমানোর নাটক। কর কেন্দ্র বেশি পায়। ক্ষতি কম। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রের প্রাপ্য পায়। বাড়তি পায়। কর কমালেও পুষিয়ে দেয়। বাংলা বকেয়াই পায় না। লাগাতার রেকর্ড দাম বাড়িয়ে মানুষের চোখে ধুলো দিতে কর কমানোর নাটক। আগে মূল দাম কমানো হোক।”

 

প্রসঙ্গত, তেলের মূল দামের সঙ্গে পরিবহণ খরচ এবং কেন্দ্রীয় শুল্ক ধরে প্রাথমিক দাম ঠিক হয়। তার উপর বসে রাজ্যের ভ্যাট। সঙ্গে ডিলারদের কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে ভ্যাটের হার লিটার পিছু পেট্রলে ২৫%। আর ডিজেলে ১৭%।

Previous article‘পয়া’ শুভেন্দুকে ত্রিপুরা পুরভোটে বিজেপির প্রচারে দেখতে চান কুণাল! কিন্তু কেন?
Next articleশত্রুর ঘুম ছুটিয়ে এবার ‘স্মার্ট বোমা’ তৈরি করলো ভারত