Wednesday, December 3, 2025

যখন পড়বে না তাঁর পায়ের চিহ্ন ওই বাটে… শেষ যাত্রায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়

Date:

Share post:

হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর আজ বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। তিনি আসলেনও। তবে তাঁর প্রাণহীন দেহ আসল তাঁর বাড়িতে। শেষ বারের জন্য। না ফেরার দেশে চলে গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বাড়ির সামনে অনুরাগীদের ভিড়। চোখে জল। শোকের আবহ বালিগঞ্জের পাড়ায়। কারো প্রিয় দাদা, কারো প্রিয় নেতা ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: “সুব্রত মুখার্জি অমর রহে”, বিধানসভায় শ্রদ্ধা রাজ্যপাল-স্পিকারের

বিধানসভা থেকে বালিগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ। শেষবারের জন্য মন্ত্রীর মরদেহ দেখতে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন পরিজন এবং অনুগামীরা। বাড়ি থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে। একডালিয়ায় ভিড় জমিয়েছেন সুব্রতর অনুগামীরা। তাঁকে চোখের জলে বিদায় জানালেন পরিবারের সদস্য ও অনুগামীরা।

নাড়ু খেতে চেয়েছিলেন সুব্রত। তাঁর বোন বুলবুল চট্টোপাধ্যায় কথাও দিয়েছিলেন যে ভাইফোঁটার দিন নাড়ু খাওয়াবেন। তা নাড়ু বানিয়েও রেখেছিলেন। কিন্তু খাওয়া আর হলো না‌। ফোঁটা নেওয়ার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন দাদা সুব্রত।

আর কিছুক্ষণের মধ্যে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গান স্যালুটে বিদায় জানানো হবে কেওড়াতলা শ্মশানে। শুক্রবার রাতে হাসপাতাল থেকে ফেরার কথা ছিল সুব্রতর। ভাইফোঁটার ঠিক আগের দিন। তিন বোন ঠিক করেছিলেন, দাদা বাড়ি ফিরলে দেখা করতে যাবেন। সুব্রতর বাড়ির কাছাকাছি থাকতেন তাঁরা। এর মধ্যে একজন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তনিমা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতেই দাদার জন্মদিন থেকে ভাইফোঁটা পালন করা হত। ঢালাও খাওয়া দাওয়াও হত। সাবেকি খাবার পছন্দ করতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পছন্দ করতেন পোস্তর বড়া, মাছের টক, পাঠার মাংস। কিন্তু এ বার সুব্রত অসুস্থ থাকায় খাবারের সেই বিপুল আয়োজন ছিল না। তবে যেহেতু সুব্রত মুখোপাধ্যায় খেতে ভালবাসতেন তা-ই নারকেল নাড়ুর মতো ইচ্ছেপূরণের ব্যবস্থা রেখেছিলেন বোনেরা। তবে সেই ইচ্ছে অপূর্ণই রয়ে গেল।

আরও পড়ুন: উনি দাদা আমি বোন, সম্পর্কের সেই সুতোটা আজ স্মৃতি হয়ে গেল: সুব্রতর প্রয়াণে শোকাহত মমতা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের সারেঙ্গাবাদের ছেলে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছয়ের দশকে পড়তে  কলকাতায় আসেন তিনি। অ্যানথ্রোপলজিতে বিএসসি নিয়ে ভর্তি হন বঙ্গবাসী কলেজে পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিওলজি-তে মাস্টার্স। তারপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা মিউসিওলজি বা মিউজিয়াম স্টাডিজে। ছয়েরদশকে কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। শুরু করেছিলেন ছাত্ররাজনীতি দিয়েই। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গেই উত্থান তার। ১৯৭২-১৯৭৭ তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এর মন্ত্রী ছিলেন। ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছেন সিদ্ধার্থশংকর রায়ের সঙ্গে। কলকাতার ৩৬তম মেয়র তিনি।২০০০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত মেয়র পদে বহাল ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গেও সুব্রত মুখোপাধ্যায় যোগাযোগ ছিল নিবিড়।

 

 

spot_img

Related articles

রায়পুরে বৃষ্টি নাকি পাটা পিচে প্রচুর রান, অনুকূল আবহাওয়ায় চনমনে মেজাজে ভারত

ফের টস হারল ভারত। এই দিয়ে টানা কুড়ি বার। প্রথমে বল করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (Ind vs...

রাজ্যে ফের পারদ পতন! বুধে নিম্নমুখী তাপমাত্রা 

পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আর ঘূর্ণিঝড় শীতের ইনিংসের সাময়িক বাধা দিলেও হাওয়া অফিসের (Weather Department) পূর্বাভাস মতোই বুধবার থেকে তাপমাত্রার...

দিল্লি নয়, সোনালিকে বীরভূমে ফেরানোর সুপ্রিম নির্দেশ! কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের

সুপ্রিম কোর্টে সোনালি বিবি (Sonali Bibi Case in Supreme Court) মামলায় বড় নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি সূর্যকান্ত।সোনালি খাতুন...

আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে এক্সপেরিমেন্টের পথে গম্ভীর! 

ঘরের মাটিতে প্রোটিয়াদের কাছে টেস্ট সিরিজের চুনকাম হওয়ার পর প্রথম একদিনের ম্যাচে (Ind vs SA) রো-কো (Rohit Sharma-...