“সুব্রত মুখার্জি অমর রহে”, বিধানসভায় শ্রদ্ধা রাজ্যপাল-স্পিকারের

১৯৭১-এ প্রথম বালিগঞ্জের বিধায়ক হন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। মাঝে একবার বাদ দিলে ২০২১ পর্যন্ত রাজ্যের বিধায়ক-মন্ত্রী ছিলেন তিনি। বিধানসভা ছিল তাঁর রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্র। রবীন্দ্রসদনে অগণিত মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর পর ঘড়ির কাঁটায় দুটো বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়।

সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Benarjee)-সহ মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই। ছিলেন শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায়। ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস দেহ নিয়ে গিয়েছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা-সহ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। দেহ বিধানসভায় পৌঁছতেই শেষ শ্রদ্ধা জানান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এরপর একে একে মন্ত্রীরা শ্রদ্ধা জানান। মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। 25 মিনিট বিধানসভায় রাখা ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ। তারপর সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে শেষবারের মতো বালিগঞ্জের বাড়ির দিকে রওনা হয় শববাহী কনভয়।

মাল্যদানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘রাজনীতিতে ওনার মতো ব্যক্তিত্বের নাম সব সময় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। সদর্থক চিন্তাভাবনার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন সুব্রত। তাঁর লড়াই শিক্ষনীয়।”

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুব্রতদার চলে যাওয়া পরিষদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর থেকে অনেক কিছু শিখেছি।” ব্যক্তিগতভাবে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত বলে জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার রাজ্য সরকারি দফতরে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। সশরীরে আর কোনোদিন বিধানসভায় উপস্থিত হবেন না সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু সব দলের বিধায়কদের কাছেই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন চিরসবুজ সুব্রত। তাই তাঁর বিদায় বেলায় বিধানসভায় আওয়াজ উঠল “সুব্রত মুখার্জি অমর রহে, আমরা তোমায় ভুলব না।”

 

 

Previous articleউনি দাদা আমি বোন, সম্পর্কের সেই সুতোটা আজ স্মৃতি হয়ে গেল: সুব্রতর প্রয়াণে শোকাহত মমতা
Next articleবিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদকেই সন্তুষ্ট থাকতে হল আকাশ কুমারকে