গান স্যালুটে চিরবিদায় সুব্রতকে, কেওড়াতলায় শেষ শ্রদ্ধা জানালেন অভিষেক

পিস ওয়ার্ল্ড থেকে রবীন্দ্র সদন হয়ে বিধানসভা। সেখান থেকে বালিগঞ্জের বাড়ি, এভারগ্রিন ক্লাব। তারপর অগণিত মানুষের সঙ্গে শেষবারের মতো বালিগঞ্জের রাস্তায় মিছিল। তবে এবার তিনি আর মিছিলে পা মেলাতে পারলেন না। প্রথমে তাঁর নামের ব্যানার নিয়ে হাঁটলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, সুদক্ষিণারা। আর প্রিয় নেতার শেষযাত্রায় পা মেলান অসংখ্য অনুগামী থেকে সাধারণ মানুষ। চিরবিদায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পদযাত্রা যখন মাঝরাস্তায় তখনই কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অপেক্ষা করছিলেন তিনি।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌঁছনোর পরে তাতে তৃণমূলের পতাকা দিয়ে সম্মান জানানো হয়। তারপরে শেষ শ্রদ্ধা জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন দেহের পাশে।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কয়েকজন আত্মীয়ও পৌঁছে যান মহাশ্মশানে। শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। মাথায় হাত বুলিয়ে দেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ৈর বোন। ভাইফোঁটার আগের রাতেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল সুব্রতর। বোনেদের পরিকল্পনা ছিল এবার বড় করে ভাইফোঁটা নয়, শুধুমাত্র বোনেরা গিয়ে দাদার কপালে ফোঁটা দিয়েই চলে আসবেন। পরে হবে খাওয়া-দাওয়া। সব পরিকল্পনা ইতি টেনে অনন্তলোকে পাড়ি দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত।

আরও পড়ুন:সন্ধ্যেয় চাউমিন খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন, তারপর সব শেষ: হাসপাতালে সুব্রতর শেষ সময়

গান স্যালুট তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপরে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরা দেহ নিয়ে যান মহাশ্মশানের ভিতরে। সেখানেই শেষকৃত্য।

বঙ্গ রাজনীতির এক অধ্যায়ের সমাপ্তি। নিজের দল কিংবা বিরোধী- সবার একটাই কথা সুরসিক-চিরতরুণ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রত্যেকের সঙ্গে সু-সম্পর্ক। সহজভাবে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা। এই সবে তাঁকে জনপ্রিয়তা করে তুলেছিল। শুক্রবার সন্ধেয় শেষ হল সেই বর্ণময়, চিরসবুজ ব্যক্তিত্বের।

 

Previous articleসৈয়দ মুস্তাক আলিতে জয়ের ধারা অব‍্যাহত বাংলার, দুই রানে হারাল ক্রুনাল পান্ডিয়ার দলকে
Next articleভূতে খুব ভয় পেতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়! মহাকরনে ভৌতিক ঘটনার সাক্ষীও ছিলেন