কড়া নাড়ছে পুরভোট! বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত

কড়া নাড়ছে পুরভোট। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটে গো-হারা হারার পর বিজেপির দলীয় কোন্দল বেড়েছে। বিধানসভা ভোট মিটতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ সভাপতি তথা বিধানসভা ভোটে জয়ের কারিগর গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, সঙ্গে সহসভাপতি, জেলা সম্পাদক ও আরও অনেকে।তাঁদের হাত ধরে দল ছেড়েছেন আরও অনেকে। পুরভোট শিয়রে থাকলেও আলিপুরদুয়ারে বিজেপির ভাঙন অব্যাহতই রয়েছে। ভাঙনে দলের ক্ষতি হচ্ছে জেনেও কোনও দাওয়াই দিতে পারেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

 

আরও পড়ুন: গোয়েন্দা বিভাগকে চাঙ্গা করতে আরও ২১৬টি স্নিফার ডগ কিনতে উদ্যোগী রাজ্য পুলিশ
বিধানসভা ভোটে বিজেপির দুশো আসনের প্রত্যাশার ফানুস ফুটো হতে দেখেছে রাজ্যবাসী। যদিও আলিপুরদুয়ারে পাঁচটি বিধানসভা আসন জিতে দলের সম্মান কিছুটা হলেও ধরে রেখেছিল। কিন্তু সেই জয় যে এত ক্ষণস্থায়ী হবে, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিধানসভা ভোট মিটতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, সঙ্গে সহসভাপতি, জেলা সম্পাদক ও আরও অনেকে। গঙ্গাপ্রসাদের দলত্যাগ যে জেলায় বিজেপির ক্ষতি করেছে, সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার সফরে এসে তা স্বীকার করে গিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। গত শনিবার আবার গঙ্গাপ্রসাদের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে একঝাঁক কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আর হাতে গোনা মাত্র কটা দিন। তারপরই আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটায় পুরভোট। তার আগে এই ভাঙন বিজেপিকে অনেকটা কমজোরি করে দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া অর্জুন বলেন, ‘‘দিল্লি থেকে বসে বাংলার মানুষকে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই করেনি বিজেপি, মানুষ যে দিদির উন্নয়নের সঙ্গে আছে তা পরিষ্কার। মানুষের কাজ করতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম।’’
বিজেপির ভাঙন প্রসঙ্গে গঙ্গাপ্রসাদ বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপিকে ধুয়েমুছে সাফ করে দেব। মানুষ উন্নয়ন চায়, দিল্লির নেতাদের ভাষণ শুনতে চায় না।’’

Previous articleগোয়েন্দা বিভাগকে চাঙ্গা করতে আরও ২১৬টি স্নিফার ডগ কিনতে উদ্যোগী রাজ্য পুলিশ
Next articleবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু