আলোর গবেষণায় বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম উঠল আসানসোলের অধ্যাপকের

কীভাবে আলোকে(Light) যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগানো যায়, কিংবা আলোকে দিয়ে কিভাবে গণনা করা যায়। অদূর ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে আলোর ব্যবহার কিভাবে করা যেতে পারে। আলোর উপর ভিত্তি করে এই সমস্ত বিষয়ের ওপর নতুন দিশা দেখিয়ে বিশ্ব সেরা বিজ্ঞানীদের(Scientist) তালিকায় নাম উঠল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিতেন্দ্র নাথ রায়ের(Jitendra nath Roy)। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যাানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম উঠে এসেছে পদার্থ বিদ্যার এই অধ্যাপকের।

জানা গিয়েছে, ছাত্রাবস্থা থেকেই আলো নিয়ে কাজ করে চলেছেন জিতেন্দ্রনাথ রায়। বর্তমানে অপটো ইলেকট্রনিক্স এবং অক্টো-স্পিনট্রনিকসের ওপর গবেষণা করছেন জিতেন্দ্রনাথ। আর সেই গবেষনাতেই স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের নামের তালিকায় তাঁর নাম উঠে এসেছে। তাঁর এই সাফল্যে খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা।

আলোকে কী করে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগাতে পারা যায়, আলো দিয়ে কী ভাবে গণনা করা যায় বা আগামী দিনে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আলোকে কী ভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে তাঁর গবেষণা। ইতিমধ্যেই বোর্ড অফ রিসার্চ স্টাডিজ অফ নিউক্লিয়ার সাইন্স বা ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার থেকে ৩৪ লাখ টাকার একটি প্রজেক্ট পেয়েছেন জিতেন্দ্রনাথ রায় এবং তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক তথা সহযোগী পূজা দে। পাশাপাশি ISRO-তেও তাঁরা ইতিমধ্যে একটি প্রজেক্ট জমা দিয়েছেন। আশা করছেন সেই প্রকল্পেও তাঁরা কাজ করতে পারবেন। জিতেন্দ্রনাথের কথায়, ‘দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন গবেষক এর আগে আমার অধীনে কাজ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিতেও গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলে যাক, এটাই আমার স্বপ্ন।’

আরও পড়ুন:অষ্টভূজা: মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়াও হাতে আরও ৮ গুরুত্বপূর্ণ দফতর

উল্লেখ্য, জিতেন্দ্রনাথ রায়ের জন্ম মেদিনীপুরের ঘাটাল গোপালপুরে। সেখানকার স্কুল থেকেই পড়াশোনা শুরু। তারপর ঘাটাল বিদ্যাসাগর কলেজ এবং পরে মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে তাঁর পড়াশোনা। CSIR ফেলোশিপ নিয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু এই আলো নিয়ে গবেষণা। ২০১৬ সালে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করার পর থেকেই আসানসোলে আছেন তিনি।

Previous articleঅষ্টভূজা: মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়াও হাতে আরও ৮ গুরুত্বপূর্ণ দফতর
Next articleএবার সিঙ্ঘু সীমান্তে ফের আত্মহত্যা কৃষকের