Saturday, November 8, 2025

দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এনে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা সুরজিৎ সাহা

Date:

Share post:

শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ! বিজেপির হাওড়া (Howrah) জেলা সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে (Surajit Saha) বহিষ্কার করল দল। অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছিলেন বিজেপি নেতা সুরজিৎ। তাতেই বেজায় চটে যান গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়েই সরাসরি বহিষ্কার করা হয় সুরজিৎকে। গণতন্ত্র নিয়ে যারা বড় বড় কথা বলে, সেই বিজেপির এহেন আচরণের সমালোচনায় সরব রাজনৈতিক মহল।

তবে, শাস্তির পরেও নিজের বক্তব্যে অনড় সুরজিৎ । বুধবার সুরজিতের বক্তব্যে বেআব্রু বিজেপির অন্দরমহল। এতদিন বিরোধীরা যা বলেছেন তারই প্রতিধ্বনি শোনা যায় সুরজিৎ সাহার বক্তব্যে।

কী বলেছিলেন সুরজিৎ সাহা? এদিন, হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি ক্যামেরার সামনে শুভেন্দুকে বললেন, “আপনার কাছ থেকে আমরা সার্টিফিকেট নেব না। আপনি কত বড় চোর সবাই জানে। নারদায় আপনাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। সারদায় একই অভিযোগ। বিজেপির অন্য কাউকে দেখা যায়নি। আপনি আগে প্রমাণ করুন, আপনি কতটা সৎ।”

যে কথা এতদিন বিরোধীরা বলছিল, সে কথাই দলীয় নেতার মুখে শুনে তোলপাড় হয়ে যায় মুরলীধর সেন লেন। তবে সুরজিতের কথায় আমল না দিয়ে উল্টে তৎকাল বিজেপি (Bjp) নেতাতেই আস্থা রাখছে গেরুয়া শিবির।

আরও পড়ুন:আমিও ছটপুজোর ব্রত করেছি, পুজোর প্রসাদ ঠেকুয়া খেতে চেয়ে মন্তব্য মমতার

হাওড়া পুর নির্বাচনকে সামনে রেখে বৈঠক করতে হাওড়ায় যান শুভেন্দু। ওই বৈঠকে বয়কট করে দলের একটা বড় অংশ। এতে বেজায় চটে যান বিজেপি বিধায়ক। অভিযোগ করেন, কেউ কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এমনকী তৃণমূল বিধায়ক অরূপ রায়ের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখার অভিযোগও তুলে শুভেন্দু বলেন, এই আঁতাঁতের কারণেই বিধানসভা ভোটে দল হেরেছিল।

এতেই ক্ষুব্ধ হন সুরজিৎ এর মত বিজেপি নেতারা। বলেন, “শুভেন্দুবাবু, সবে তো আপনি ৬ মাস ভারতীয় জনতা পার্টিতে এসেছেন। কে কত বড় বিজেপি তার সার্টিফিকেট আপনার থেকে দলের কর্মীরা নেবেন না। আপনাকে ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে টাকা নিতে। হাওড়ার কোনও বিজেপি নেতাকে ক্যামেরায় দেখা যায়নি ঘুষ নিতে”।

হাওড়া পুরভোটের শুভেন্দুর তৈরি করা কমিটি নিয়েও তোপ দাগেন সুরজিৎ। বলেন, “ওটা তো তৃণমূলের বিটিম। যে লোকটা নিজের ওয়ার্ডে, নিজের বুথে জিততে পারে না, যার নামে গদ্দার পোস্টার জেলা সভাপতিকে বুথের সামনে থেকে সরাতে হয়েছে সেই রথীন চক্রবর্তীকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তৃণমূলের কোনও বিটিমের নেতৃত্বে হাওড়ার বিজেপি কর্মীরা কাজ করবেন না। চোর, গদ্দারদের সঙ্গে আমরা ঘর করব না।”

ফের একবার প্রকাশ্যে আসে বিজেপির আদি-নব্য লড়াই। আর এটাতেই গণতন্ত্রের সব পাঠ ‘ভুলে’ দলীয় নেতাকে নিজের বক্তব্যের সপক্ষে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়েই সরাসরি বহিষ্কারের রাস্তায় হাঁটল গেরুয়া শিবির। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা সব মহলে।

 

spot_img

Related articles

মতুয়া-ফায়দা লোটার চেষ্টা: অনশন মঞ্চে হঠাৎ হাজির বাম-কংগ্রেস!

বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে...

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক...