কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম আকর্ষণ শোভাযাত্রা। বাঁশের কাঠামোর সাহায্যে বিশাল প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।শোভাযাত্রা দেখতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন।কিন্তু বিসর্জনের শোভাযাত্রায় গত বছরের মতো এ বছরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এর পরই হাইকোর্টে আবেদন জানায় শহরের অন্যতম ঐতিহ্যশালী পুজো কমিটি চাষাপাড়া বারোয়ারি।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রতীকী বিসর্জন-শোভাযাত্রা হবে। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাস-ঐতিহ্য মাথায় রেখে পুজো কমিটি কীভাবে প্রতীকী শোভাযাত্রা করবে, কতজন মানুষ উপস্থিত থাকবে, কী কী থাকবে, সেই বিষয়ে আবেদন জানাতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। শোভাযাত্রার প্রধান বিষয় সাং (কাঁধে করে ঠাকুর বিসর্জন)। হাইকোর্ট জানিয়েছে, আবেদন গ্রহণের পর কোভিড নিয়ম মেনে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে, এই শোভাযাত্রায় অনুমোদন দেওয়া যাবে কি যাবে না।
বিচারপতিরা জানিয়েছেন, করোনাবিধি মেনেই প্রতীকী শোভাযাত্রা করতে হবে। প্রশাসন গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখবে। জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে শোভাযাত্রার অনুমতির দাবিতে বুধবার কৃষ্ণনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সেই অবরোধে বহু গাড়ির সঙ্গে একটি অ্যাম্বুলেন্সও আটকে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে থাকায় মৃত্যু হয় এক শিশুর। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।এরই মধ্যে হাইকোর্টের এই রায়।