অবশেষে পুলিশের জালে কলকাতা কুখ্যাত ডন দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের (Haridevpur) ত্রাস নান্টি (Nanti). গা ঢাকা দিয়ে একের পর এক ডেরায় পালাতে থাকলেও শেষরক্ষা হল না। কলকাতা পুলিশের{(Kolkata Police) দুঁদে গোয়েন্দাদের হাতে ধরা দিতেই হল ডন নান্টিকে। তার ছায়াসঙ্গী আবদুল হোসেন ওরফে বিলালকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাগনান থেকে কলকাতা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
নান্টি ও তার সঙ্গী বিলালের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আহ, সোমবার এই দুই সমাজবিরোধীকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হবে। কলকাতা পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চাইবে নান্টিকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে হরিদপুরের গুন্ডা নান্টির একের পর এক সমাজ বিরোধী কার্যকলাপে নাভিশ্বাস উঠে এলাকার মানুষের। খুন, হুমকি, তোলাবাজি, রাহাজানি লুটপাটের মত অসামাজিক কাজকর্মে দৌরাত্ম বাড়তে থাকে নান্টি ও তার দলবলের। হরিদেবপুর এলাকার ত্রাস হয়ে ওঠে সে।
গত বছর জুলাই মাসে নান্টির গুণ্ডামিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হরিদেবপুর। কবরডাঙা মোড়ে একটি পানাশলায় প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় রাজা মজুমদার নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সঞ্জয় ছেত্রী ও উত্তম সাহা নামে দুই ব্যক্তি গুরুতর জখম হন। সেবার গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হয় নান্টিকে। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার গুন্ডামি আরও বেড়ে যায়।
সম্প্রতি, নান্টি সরাসরি কোনও ঘটনায় না থাকলেও, গত কয়েক মাস ধরে তার দলের গুন্ডারা বাঁশদ্রোনী, কুদঘাট, হরিদেবপুর, কবরডাঙ্গা, ঠাকুরপুকুর টালিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল নান্টির দলের দৌরাত্ম্যে। এবং সব ঘটনার পিছনে নান্টির প্রত্যক্ষ মদদ ছিল বলেই জানতে পারে পুলিশ। কিছুদিন আগে তার ছেলেকে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপর থেকেই নান্টিকে খুঁজছিল পুলিশ। পালিয়ে বাঁচতে পারল না। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা দিল সে।