Nandigram Case: হাইকোর্টে অনাস্থা! শুভেন্দুকে লিখিত বক্তব্য জমার নির্দেশ, শীর্ষ আদালতে পিছলো শুনানি

সুপ্রিম কোর্টে ২ সপ্তাহ পরে ও কলকাতা হাইকোর্টে ১ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম মামলার পরবর্তী শুনানি

নন্দীগ্রাম মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারে তাঁর আস্থা নেই। মামলা অন্যত্র সরাতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টকে আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই মামলায় নিষ্পত্তি না হওয়ায় হাইকোর্টের শুনানি পিছনোর আবেদনও জানান তিনি। সোমবার হাইকোর্ট তাঁকে এই বক্তব্য লিখে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল।

আরও পড়ুন- Alapan-Case: শীর্ষ আদালতে সময় চাইল কেন্দ্র, পিছলো আলাপন-মামলার শুনানি 

২৯ নভেম্বর ওই লিখিত বক্তব্য জমা দিতে হবে। ১ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে, এদিন সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) নন্দীগ্রাম মামলা ছিল। কিন্তু মামলা উঠলেও বিচারপতি হিমা কোহলির সময় না হওয়ায় মামলাটি শোনেননি। সুপ্রিমকোর্টে দু সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে।

সোমবার, সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) ছিল নন্দীগ্রামের ভোট গণনা মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে শুনানি হয়। এদিনই উচ্চ আদালতে মামলাটির শুনানি পিছনোর আবেদন করেছিলেন শুভেন্দুর আইনজীবীরা। হাইকোর্টে বিচারে অনাস্থা প্রকাশ করে মামলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন তাঁরা। জবাবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুভেন্দুর যে হাইকোর্টে আস্থা নেই তা ২৯ নভেম্বরের মধ্যে লিখিত ভাবে জমা দিতে হবে।’’ মামলা অন্যত্র সরানো হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তারপর হবে।

বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। প্রথম জুন মাসে হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। কিন্তু ওই বেঞ্চে মমতার আপত্তি থাকায় পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি চন্দ। জুলাই মাসে মামলাটি যায় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। কিন্তু এবার বেঞ্চ বদলে বেঁকে বসেন শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। কলকাতা হাইকোর্টের উপর অনাস্থা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। সেখানে তিনি আবেদন করেন, অন্য যে কোনও রাজ্যে মামলা স্থানান্তরিত করা হোক। এই অবস্থায় মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তিন মাসের জন্য শুনানি মুলতুবি করেন। ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টে নন্দীগ্রাম ভোট গণনা মামলার পরবর্তী শুনানি।

 

 

 

Previous articleBangladesh : সীমান্তে হত্যাকে ন্যক্কারজনক বললেন দোরাইস্বামী
Next articleমমতা সরকারের অনুকরণ! মধ্যপ্রদেশে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের সূচনা নরেন্দ্র মোদির