Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমকের পরেই চিংড়িহাটায় দুর্ঘটনা রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিল পুলিশ

পরপর দুর্ঘটনার কারণে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে বাইপাসের চিংড়িঘাটা এলাকা। আর তা নিয়ে বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। এই নিয়ে কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর কমিশনারেটের সমন্বয় অভাবকে দায়ী করে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই তৎপর হল পুলিশ ও প্রশাসন।

এদিন মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চিংড়িঘাটায় কেন এত দুর্ঘটনা ঘটছে! এরপরেই তিনি বলেন, কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর কমিশনারেটের ইগো লড়াই হচ্ছে। অবিলম্বে দ্বন্দ্ব মেটাতে নির্দেশ দেন মমতা। বলেন, “মানুষের জীবনের থেকে দামী কিছু নয়। আর একটাও দুর্ঘটনা দেখতে চাই না”।

মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরই নড়েচড়ে বসে কলকাতা (Kolkata Police) এবং বিধাননগর পুলিশ (Bidhannagar Police)। তড়িঘড়ি এলাকা পর্যবেক্ষণ করে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করল পুলিশ। পাশাপাশি একাধিক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল- কলকাতা এবং বিধাননগর, দুই কমিশনারেটের পুলিশই ওই অঞ্চলে সমন্বয় রেখে কাজ করবে। পাশাপাশি মোতায়েন থাকবেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। বাড়ানো হবে সিসিটিভি। বাড়ানো হবে নজরদারি।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে চিংড়িঘাটায়। প্রশ্ন উঠছে পথ নিরাপত্তা নিয়ে।
চিংড়িঘাটা মোড় থেকে ইএম বাইপাস পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই রাস্তাটিতে একাধিক স্পিড লিমিটার রয়েছে। তাই চাইলেও ওই রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে কেউ গাড়ি কিংবা বাইক চালাতে পারেন না। তবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল থেকে সেক্টর ফাইভের দিকের রাস্তাটি বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন। সেখানে কোনও স্পিড লিমিটার নেই। ফলে বেলাগাম গতিতে গাড়ি চালান অনেকেই। এর জেরে বাড়ছে দুর্ঘটনা।

আরও পড়ুন- Goa: বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকৃত বিকল্প তৃণমূলই, গোয়ায় কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান লোবোর

Previous articleসরকার আর কত ভর্তুকি দেবে, প্রশ্ন শেখ হাসিনার 
Next articleBus Fare: স্বস্তি, আপাতত বাড়ছে না বাসভাড়া