Tuesday, November 4, 2025

Chuchura: এ কেমন ঘুম? যা ভাঙাতে দরজা ভাঙতে হয়!

Date:

Share post:

টানা কয়েকঘন্টার রোমহর্ষক পর্ব, ঘুম ভাঙাতে ভাঙতে হলো দরজা! কলিযুগের এক কুম্ভকর্নের হদিস মিললো চুঁচুড়ায় (Chuchura)। নাম সৌমেন নিয়োগী। তিনি চুঁচুড়ার (Chuchura)  বড়বাজারে একটি আবাসনের তিনতলায় থাকেন। বছর ৪২-এর সৌমেন নিয়োগী (Soumen Niyogi) ভারতীয় রেলের শিয়ালদহ শাখায় লোকো পাইলট (Loco Pilot) হিসাবে কর্মরত।

সৌমেন নিয়োগী

সৌমেনের স্ত্রী বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বর্ধমানের  (Bardhaman) মেমারিতে বাপের বাড়িতে গিয়েছেন। সৌমেন  একাই ছিলেন বাড়িতে। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথাও হয় সৌমেনের। যদিও এদিন ঘর থেকে তাঁকে বের হতে দেখা যায়নি। সৌমেনের স্ত্রী ওই আবাসনেরই আরেক আবাসিক মনোজিৎ দত্তকে ফোন করে স্বামীকে ডাকতে বলেন। কিন্তু মনোজিৎ সৌমেনকে বহু ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। এরপর অন্যান্য আবাসিকরা সুর চড়িয়ে সৌমেনকে ডাকা শুরু করেন। কোথায় সৌমেনবাবু। গলা চেঁচানো, দরজা টাকানো, অনবরত কলিং বেল বাজানো কোনভাবেই সৌমেনের সাড়া মেলেনি। এরপর মনোজিৎবাবু বিষয়টি ফোনে সৌমেনবাবুর স্ত্রীকে জানান। তিনি ঘরের দরজা ভেঙে দিতে বলেন এবং বিপদের আশঙ্কা করে বিয়ে বাড়ি থেকে জলদি  চুঁচুড়ার দিকে রওনা হন।

আরও পড়ুন-Meeting: ফের বিজেপির কথার সুর ধনকড়ের কণ্ঠে, পুরভোট-বৈঠকে সংঘাতের কাঁটা

মনোজিৎবাবুর দৌলতেই খবর যায় চুঁচুড়া থানায়। চুঁচুড়া থানার পুলিশ এসে পৌঁছয়। পুলিশ কর্মীরাও ডাকাডাকি করে সাড়া পাননি। এরপর পুলিশ লোক ডেকে মিস্ত্রী ডেকে আনেন। মিস্ত্রীর ছেনি হাঁতুড়ির ঘায়ে কোলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা হয়। এরপর আবাসনের সদর দরজা ভাঙতেই বারমুড পরে সৌমেনবাবু ঘুম চোখে ভিতরের ঘর থেকে বেড়িয়ে আসেন। সমাপ্ত হয় নাটকের। বাইরে টানা কয়েকঘন্টা ধরে যে সাসপেন্স চলছিল তিনি তা কিছুই জানেন না। তবে এ কোন ঘুম? যে ঘুম ভাঙাতে দরজা ভাঙতে হয় তা ভেবেই চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয় বাসিন্দাদের!

ঘুম নিয়ে গবেষনা নতুন নয়। বই ঘাটলে দেখা যাবে খ্রীষ্টপূর্ব থেকেই  ঘুম নিয়ে গবেষনা চলছে। তবে আধুনিক বিজ্ঞানের কথায় ঘুম হল একটি জৈবিক বিষয়। যা প্রাণীকুলের কাছে স্বাভাবিক। মানুষ সারা জীবনের প্রায় ৩৫ শতাংশ সময় ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেন। অর্থাৎ কেউ যদি ৬০ বছর বাঁচে তবে হিসেব কষলে দেখা যাবে তিনি জীবনের সাড়ে ২১বছর ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ঘুম যদি হয় অবিরাম। কোনভাবেই যদি ঘুম না ভাঙে অর্থাৎ কুম্ভকর্ণ। হিন্দুপুরাণ রামায়ণে কুম্ভকর্ণকে রক্ষকুলের সাথে তুলনা করা হয়েছে, তিনি ছিলেন রাবণের মধ্যম ভ্রাতা৷ কুম্ভকর্ন তাঁর ভ্রাতাদ্বয় রাবণ ও বিভীষণের সহিত এক মহাযজ্ঞে অংশগ্রহণ করে তারা প্রজাপতি ব্রহ্মাকে তুষ্ট করতে সফল হন৷ কিন্তু ব্রহ্মার কাছে বর চাওয়ার সময় দেবরাজ ইন্দ্রের অনুরোধে দেবী সরস্বতী তার জিহ্বা আড়ষ্ট করে দেন৷ এই কারণে বর হিসাবে ‘ইন্দ্রাসন’ চাওয়ার বদলে তিনি ‘নিদ্রাসন’ চেয়ে বসেন৷ কথিত আছে টানা ৬মাস ঘুমোতেন কুম্ভকর্ণ। পৃথিবী উল্টে গেলেও ঘুম ভাঙতো না তাঁর।

spot_img

Related articles

পাখির চোখ মহিলা ভোটব্যাঙ্ক: ক্ষমতায় এলে ৩০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি তেজস্বীর

পথিকৃত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বিভিন্ন ভাবে দিচ্ছে দেশের অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের...

প্রয়াণ দিবসে সুব্রতকে স্মরণ, দীর্ঘদিনের সৈনিককে শ্রদ্ধার্ঘ্য অভিষেকের

দক্ষ প্রশাসক, বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের( Subrata Mukharjee) আজ প্রয়াণ দিবস। তাঁর প্রয়াণ দিবসে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও...

শতবর্ষে ঋত্বিক, কিংবদন্তি পরিচালককে শ্রদ্ধার্ঘ্য অভিষেকের

শতবর্ষে বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক(Ritwik Ghatak)। কিংবদন্তি পরিচালকের জন্মশতবর্ষে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের...

ধাক্কা খেল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ! দিঘার জগন্নাথ ‘ধাম’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাই কোর্টে

দিঘার জগন্নাথ ‘ধাম’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয়...