Jago Bangla: দলকে শূন্যে টেনে নামিয়েছেন অধীর চৌধুরী: ‘জাগো বাংলা’-র সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসকে তুলোধোনা

অক্ষম কংগ্রেস শিরোনাম-সহ সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, বাংলায় দলকে শূন্যে টেনে নামিয়েছেন অধীর চৌধুরী

‘জাগো বাংলা’-র সম্পাদকীয়তে তুলোধোনা করা হল কংগ্রেসকে। ‘অক্ষম কংগ্রেস’ শিরোনামে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “বাংলায় দলকে শূন্যে টেনে নামিয়েছেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের ব্যর্থতা ঢাকতে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করছেন”।

বুধবার রাতেই খবর আসে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন কংগ্রেস বিধায়কের TMC-এ যোগদান করছেন। কংগ্রেসে (Congress) ভাঙন ধরিয়ে মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দলে এখন তৃণমূল। ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। আর ঠিক তার পরের দিনই আরও একবার কংগ্রেসকে তুলোধোনা করা হয় তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-র সম্পাদকীয়তে।

কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে প্রতিবেদনে লেখা হয়, “কংগ্রেস এখন বেজায় মুশকিলে। নতুন কেউ কোনও দলে (পড়ুন তৃণমূল কংগ্রেস) যোগ দিলেই তাদের বুকের ভিতর হাহাকারের বাদ্যিটা বেজে ওঠে। সেই হতাশা থেকে তীর্যক মন্তব্য, কটাক্ষ।” এরপরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম করে কটাক্ষ করা হয়, “দলের জাতীয় স্তরের নেতৃত্বের চাইতে অধীর চৌধুরীর জ্বালাটা যেন একটু বেশি। অধীর চৌধুরী অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন। সেটা হওয়াই স্বাভাবিক। কারণ বাংলায় তাঁদের দলকে তিনি শূন্যতে টেনে নামিয়েছেন। বিধানসভায় কংগ্রেসের নাম মুছে গিয়েছে। উপনির্বাচনে তো আরও করুণ অবস্থা। ভোট এক শতাংশের নীচে নেমেছে। জোট আর ঘোঁটে দলটাকে তুলে দেওয়ার জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন।”

প্রতিবেদনের শেষে ফের অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, “সব দলই চায় নিজের শক্তি বাড়াতে। তৃণমূল কংগ্রেসও তাই করছে। এতে শূন্যয় নামা অধীর চৌধুরীদের গাত্রদাহ হলে কিছু করার নেই।” কংগ্রেসের ব্যর্থতা ও অপদার্থতা ঢাকতে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ এখন অক্ষমের লজ্জা ঢাকার শেষ বস্ত্রখণ্ড বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ত্রিপুরা, গোয়া-সহ বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের জমি শক্ত করছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) দিল্লি সফরের সময়ে গোবলয়ের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা অন্য দল ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছেন। মেঘালয় প্রধান বিরোধী দল এখন তৃণমূল। কিন্তু বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে জাতীয় কংগ্রেস কোথায়? তৃণমূলের মতে, কংগ্রেস হেরেছে বিজেপির কাছে। আর বিজেপিকে হারিয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন- Tripura: ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের অন্ধকার অধ্যায় রচনা করল বিজেপি, অভিযোগ রাজীব-সুবলের

 

Previous articleTripura: ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের অন্ধকার অধ্যায় রচনা করল বিজেপি, অভিযোগ রাজীব-সুবলের
Next articleBratya Basu: তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মইদুলদের, মিটল সমস্যা