One year of farmers protest: প্রত্যাহারের ঘোষণার পরেও আস্থা নেই মোদিতে, দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উদযাপন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর কৃষকরা ‘আস্থা’ রাখতে পারলেন না

কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের এক বছর পূর্ণ হল। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে, সেই দাবি পূরণ হয়েছে।
তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে প্রত্যাহার বিল আনার ব্যাপারে অনুমোদনও দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।এতকিছুর পরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর কৃষকরা ‘আস্থা’ রাখতে পারলেন না ।
যার নিট ফল, আন্দোলন প্রত্যাহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কৃষকরা। বরং আজ বর্ষপূর্তির দিনটি তারা উদযাপন করছেন সারা দেশ জুড়ে। তাই আন্দোলন কর্মসূচি দেখে দিল্লি সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিস বলেছে যে বিক্ষোভকারী কৃষকরা যেখানে অবস্থান করছে সেখানে পুলিস কর্মীদের সঙ্গে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পিটিআই সূত্রে খবর, এ বিষয়ে পুলিস, কৃষক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে।

আরও পড়ুন- TMC: মেঘালয়ে ভাঙনের পর সুর নরম, তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে রাজি কংগ্রেস
আজ, শুক্রবার কৃষক বিক্ষোভ কর্মসূচির বর্ষপূর্তিতে তীব্রতর হতে চলেছে আন্দোলন। লক্ষ্য একটাই, মোদি সরকারকে আরও কোণঠাসা করা। ঠিক এক বছর আগে এই দিনটিতেই দিল্লির সীমানাগুলিতে অবস্থান শুরু করেছিলেন কৃষকরা।এই এক বছরে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং বাংলার মতো বহু রাজ্যে বিজেপি বিরোধিতার মুখ হয়ে উঠেছেন তাঁরা।আর এবার দেশজুড়ে ব্যাপক আকারে সেই বিক্ষোভ কর্মসূচির ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন বিক্ষোভকারী চাষিরা। বেনজিরভাবে দেশের প্রতিটি রাজ্যের রাজধানী শহরে শুক্রবার বসছে কিষান মহাপঞ্চায়েত। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে মোর্চা।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই দিল্লির তিন সীমান্ত অর্থাৎ সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মেট্রো স্টেশনগুলিতে নিরাপাত্তা বাড়ানো হয়েছে।
স্পেশাল কমিশনার অফ পুলিসের (আইন শৃঙ্খলা বিভাগ জোন – ১) দীপেন্দ্র পাঠক বলেছেন, “পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে এবং মাঠে ঊর্ধ্বতন পুলিস কর্মকর্তারা তত্ত্বাবধান থাকবে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা পেশাদার নিরাপত্তা আধিকারিকদের মোতায়েন করা হয়েছে।
ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে দুপুরে সমাবেশের পর বিকেলে জমায়েতকারীরা মিছিল করবেন শিয়ালদহ পর্যন্ত।ইতিমধ্যেই ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) সর্বভারতীয় নেতা রাকেশ টিকায়েত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘আগামী ২৯ নভেম্বর, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিন দিল্লির সীমানা থেকে ৬০টি ট্রাক্টরের মিছিল সংসদ ভবন অভিযান করবে।’ সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়ে দিয়েছে, ২৭ নভেম্বর হবে কৃষক নেতৃত্বের বৈঠক। তারপর স্থির হবে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি।
আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে কৃষকরা সারাদেশে একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দিল্লিতে বেশ কিছু বিক্ষোভ, মোর্চা অনুষ্ঠিত হবে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (SKM), ৪০ টিরও বেশি কৃষক সংগঠনের মতে, হাজার হাজার কৃষক দিল্লির বিভিন্ন প্রতিবাদস্থলে আসতে শুরু করেছে৷ দিল্লি থেকে অনেক দূরে রাজ্যগুলিতে সমাবেশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে৷ ধর্না এবং অন্যান্য কর্মসূচি হবে।কর্ণাটকের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। তামিলনাড়ু, বিহার, মধ্যপ্রদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রায়পুর এবং রাঁচিতে আজ রয়েছে ট্রাক্টর মিছিলের পরিকল্পনা।

Previous articleTMC: মেঘালয়ে ভাঙনের পর সুর নরম, তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে রাজি কংগ্রেস
Next articleLeft Front: কলকাতা পুরভোটে বামেদের প্রার্থী তালিকায় প্রাধান্য পাচ্ছে নতুন প্রজন্ম