গেরুয়া হিংসার বাতাবরণে পুরভোট ত্রিপুরায়, সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে TMC ও CPIM

সিপিএমের পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকেও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে

লজ্জা। নগ্ন গণতন্ত্র। অবাধ ভোট নয়, অবাধ সন্ত্রাস। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে ব্যর্থ ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসন। ত্রিপুরার নজিরবিহীন ভোট প্রহসনের সাক্ষী গোটা দেশ। রাজধানী আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত পুর এলাকাতে ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই। অভিযোগের তির শাসকদল বিজেপির দিকে।

খাতায়-কলমে শুধু রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বামেরা কিংবা প্রধান বিরোধী হয়ে ওঠা তৃণমূল নয়, খোদ আগরতলার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের গলাতেও শোনা গিয়েছে মারাত্মক সন্ত্রাসের অভিযোগ। ভোটপর্ব শেষের আগেই সিপিএমের তরফে আগরতলার সব বুথে পুনর্নির্বাচন দাবি করা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

ত্রিপুরায় দলের অন্যতম দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসন নির্বিকার। অবাধে ছাপ্পা হয়েছে। প্রায় ১০০ অভিযোগ আমরা কমিশনে জমা করেছি। এখানে ভোট হয়নি। আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আগরতলায় পুরভোট বাতিল করার দাবি জানাব। এই নির্বাচন বাতিল করে আবার সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হোক।”

অন্যদিকে, বামেরাও একই বিষয়ে সরব। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, ”রাজ্যের বিজেপি সরকার পুরভোটে দিনদুপুরে গণতন্ত্রের অমাবস্যা নামিয়ে এনেছে। ভোটের মতো একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে ওরা।”

আরও পড়ুন- Bratya Basu: তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মইদুলদের, মিটল সমস্যা

Previous articleBratya Basu: তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মইদুলদের, মিটল সমস্যা
Next articleহরিয়ানা প্রদেশ তৃণমূলের ইনচার্জ করা হল রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়কে