ভাঙন অব্যাহত কংগ্রেসে। মেঘালয়ের পর সেই ধারা এবার জারি রইল মিজোরামেও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লাল থানহাওলা(Lal Thanhawla)। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘর বাঁচাতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে জাতীয় কংগ্রেস। পদত্যাগের পর কংগ্রেস নেতা লাল থানহাওলাকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করেছেন সোনিয়া গান্ধী।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই সোনিয়া গান্ধীর(Sonia Gandhi) কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠান থানহাওলা। ইস্তফার পিছনে তাঁর যুক্তি ছিল এখন নতুনদের হাতে ক্ষমতার রাশ তুলে দেওয়ার সময় হয়েছে। তবে পদত্যাগ পত্র পাঠানো হলেও শুরুতে সেই পদত্যাগপত্র স্বীকার করেননি সোনিয়া। বিভিন্নভাবে এই সিদ্ধান্ত বদল করার বার্তা দেন তিনি। এমনকী বরিষ্ঠ এই নেতাকে দিল্লিতেও ডেকে পাঠানো হয়। তবে কোনোকিছুতেই কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত শনিবার তাঁর পদত্যাগ স্বীকার করে নেওয়া হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। আর এরপরই ৮০ বছর বয়সী ওই কংগ্রেস নেতাকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করা হয়। তবে এই ঘটনার সঙ্গে অতীতের কিছু ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিক এভাবেই বয়সের কারণ দেখিয়ে কংগ্রেস(congress) থেকে পদত্যাগ করেছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। প্রদেশ সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি রাজি হননি। এবং কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এখানেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে কিনা সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে কংগ্রেসের অন্দরে।


উল্লেখ্য, মিজোরামে কংগ্রেস ও লাল থানহাওলা প্রায় সমার্থক শব্দ। পাঁচ দফায় ২২ বছরেরও বেশি মুখ্যমন্ত্রী থাকার পাশাপাশি প্রায় পাঁচ দশক তিনিই ছিলেন মিজো কংগ্রেস প্রধান। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ১৯৭৩ সালে তাঁকে প্রদেশ সভাপতি করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল প্রবল। তবে তাঁর ইস্তফার পর মিজোরামে কংগ্রেসের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, গোয়ার মত কিছু এই রাজ্যে ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।