Mithun Chakraborty: মিঠুনের বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক মন্তব্যের’ অভিযোগ খারিজ হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন অভিযোগকারীরা; মন্তব্য কুণালের

অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক মন্তব্যের’ যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আজ বিচারপতি কৌশিক চন্দ এই রায় দিয়েছেন আদালতে।

নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের একক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। বিচারপতি বলেন, এখন অনেক অভিনেতাই রাজনীতি করছেন। অনেকে মনোরঞ্জনের জন্য এই জাতীয় কথা বলেই থাকেন। উনি তা স্বীকারও করেছেন। ফলে তার মধ্যে কোনও হিংসা খুঁজে পায়নি আদালত।

আরও পড়ুন- Coal Scam Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্র গ্রেফতার

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, আমি যতদূর জানি মহামান্য কৌশিক চন্দের এজলাসে এই মামলাটি হয়েছে। এর আগে দেখেছি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে অন্য মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন হয়েছিল। কারণ বিচারপতি হওয়ার আগে কৌশিকবাবুকে দেখা গিয়েছিল পুরোদস্তুর বিজেপির মঞ্চে কিংবা বিজেপি ঘেঁষা মঞ্চে দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে। তবে আমরা মনে করি উনি যখন বিচারপতির আসনে বসেছেন, ওনার বিচারই শেষ কথা। এই রায়ের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগকারী মৃত্যুঞ্জয় পাল এবং আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চলেছেন। কারণ, ভোটের সময় যখন উত্তেজনা তখন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো বেছে বেছে ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’ বলছেন। উনি তো রামকৃষ্ণদেবের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। কই যত মত তত পথ তো বলেননি।” এই বিষয়ে একটি টুইটও করেছেন কুণাল ঘোষ।

 

প্রথমে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ৫০৪ ও ৫০৫ ধারায় এফআইআর রুজু হয় অভিনেতার বিরুদ্ধে। হিংসা ছড়ানো, শান্তি নষ্ট করার চেষ্টার মতো একাধিক অভিযোগ আনা হয় মিঠুনের বিরুদ্ধে। এই এফআইআর খারিজের আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন মিঠুন চক্রবর্তী। বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন সেই মামলা। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিশের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই সংলাপ শুধুমাত্র দর্শকের মনোরঞ্জনের জন্যই বলে থাকেন তিনি। একই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, সংলাপগুলি বলার প্রায় তিন মাস পর এফআইআর দায়ের হয়। ফলে ভোটার ভয় পেতে পারেন এমন আশঙ্কাও অমূলক। তাই তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত এফআইআর খারিজ করতে বলে আদালত। পাশাপাশি শুধুমাত্র সংলাপ বলার কারণে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পুলিশ যে তদন্ত শুরু করেছিল সেগুলিও নিষ্প্রয়োজন বলেই মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট।

Previous articleপাহারের রানি উটি
Next articleKatrina Kaif-Vicky Kaushal: নবদম্পতিকে দেখা গেল দুর্গের বারান্দায়