বিল সই করতে নারাজ ধনকড়, ‘বাংলার শত্রু’ বলে রাজ্যপালকে তোপ কুণালের

বিলটি নিয়ে কোনও জটিলতা নেই। রাজ্যপালের কাজ হল সরকারকে উত্যক্ত করা, মন্তব্য সৌগতর

উন্নয়নের স্বার্থে হাওড়া পুরসভা ও বালি পুরসভাকে আলাদা করতে বিধানসভায় বিল পাস করেছে রাজ্য সরকার। তবে সেই বিল সই করতে নারাজ রাজ্যপাল(Governor) জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar)। শনিবার এই বিল সংক্রান্ত বিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Biman Banerjee) রীতিমতো তোপ দেগে জগদীপ ধনকড় জানিয়ে দিয়েছেন, আমি যে তথ্য দিয়েছি তা না দিলে বিল সই করবো না। প্রয়োজনে বিলটি আমি রাষ্ট্রপতির(Precident) কাছে পাঠাব। রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যের পর এদিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাল্টা তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘এই রাজ্যপাল বাংলার শত্রু। তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করছেন।’

শনিবার বর্ষীয়ান কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের শিবপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ‘বাঁটুল দি গ্রেট’ খ্যাত নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। শুরুতেই হাওড়া পুরসভা ও বালি পুরসভাকে আলাদা করা সংক্রান্ত বিল প্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে ধনকড় বলেন, “তথ্য দেওয়া না হলে আমি কোনোভাবেই সই করব না। বিলটি আমার বিচারাধীন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য। বিধানসভার স্পিকারকে আমি অনুরোধ করব দয়া করে নিজের গরিমা এবং পদমর্যাদা বজায় রাখুন। প্রয়োজন হলে বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।”

আরও পড়ুন:M R Bangur: করোনা পরিস্থিতির উন্নতি, এম আর বাঙুর চালু হচ্ছে অন্য চিকিৎসা পরিষেবাও

রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যে পাল্টা দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন রাজ্যপাল। আমরা রাজ্যপালকে সম্মান করি। কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি এই ব্যক্তি বাংলার শত্রু। বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। রাজ্যপালের পদের গরিমা উনি নষ্ট করছেন।” পাশাপাশি রাজ্যপালকে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “বিলটি নিয়ে কোনও জটিলতা নেই। রাজ্যপালের কাজ হল সরকারকে উত্যক্ত করা।”

এদিকে এই বিল প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের অভিযোগ, হাওড়া-বালি বিলটি বিধানসভায় পাশ হলেও রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করায় বিলটিকে বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়, আর সেই কারণেই হাওড়ার পুরভোট বিলম্বিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিএসএফ-এর এক্তিয়ার প্রসঙ্গে রাজ্যের দাবির সমালোচনা করে রাজ্যপাল বলেন, “সীমান্তে নিরাপত্তা একটি গুরূত্বপূর্ণ বিষয়। রাজ্য কেন বিএসএফ-এর এক্তিয়ারকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে। প্রশাসনিক বৈঠকে বিএসএফ-কে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন করি না। প্রয়োজন হল পুলিশ-বিএসএফ একসঙ্গে কাজ করুক। কেন মুখ্যমন্ত্রী সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন?’’ এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সৌগত রায় বলেন, “রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে করছে কেন্দ্র। রাজ্যপাল তার পক্ষেই সাওয়াল করছেন।”

Previous articleM R Bangur: করোনা পরিস্থিতির উন্নতি, এম আর বাঙুর চালু হচ্ছে অন্য চিকিৎসা পরিষেবাও
Next articleWeather Report:দেরিতে হলেও আর কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যে শুরু শীতের ইনিংস