লখিমপুর মামলায়(Lakhimpur case) অস্বস্তি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে বিজেপি সরকারের। গাড়িচাপা দিয়ে কৃষক হত্যার ঘটনায় সম্প্রতি সিটের(SIT) যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তারপর একযোগে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল(TMC), কংগ্রেস, সপা সহ সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এরই মাঝে বুধবার সকালে লখিমপুর হিংসায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্তের দাবিতে সংসদের মুলতবি প্রস্তাব পেশ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি এই ইস্যুতে আলোচনা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বরখাস্তের দাবিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লেখেন তৃণমূল সংসদ সুস্মিতা দেব(Sushmita Dev)।

এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “আমরা লখিমপুর ইস্যুতে সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারপক্ষ কোনরকম আলোচনা করতে চাইছে না।” পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে সংসদে মুলতবি প্রস্তাব পেশ করার পর সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “আমরা চাই কেন্দ্রীয় সরকার অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করুক। রাহুল গান্ধী আজ সংসদে এই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে সংসদে মুলতবি প্রস্তাব পেশ করেছেন রাহুল।”

Congress MP Rahul Gandhi moves adjournment motion in Lok Sabha over Lakhimpur Kheri incident demanding removal of MoS Home Ajay Kumar Mishra pic.twitter.com/PZVFEbIx49
— ANI (@ANI) December 15, 2021
অন্যদিকে, লখিমপুর ইস্যুতে বুধবার অজয় মিশ্রকে বরখাস্তের দাবি জানিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছেন তৃণমূল সংসদ সুস্মিতা দেব। চিঠিতে গোটা ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে তাঁর দাবি নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্রর বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয়কে বরখাস্ত করা হোক। এবং সংসদের এই ইস্যুতে আলোচনার অনুমতি দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন:High Court: বিজেপির আবেদন খারিজ, কলকাতা পুরভোটে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে মন্ত্রী-পুত্র আশিসের গাড়ি পিষে দেয় বিক্ষোভরত চার কৃষকে। আহত হন অনেকে। যদিও অজয়ের দাবি, ঘটনার সময় আশিস গাড়িতে ছিলেন না। পিষে খুন করার পাশাপাশি গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। আদালতের চাপের মুখে পড়ে এরপর ৯ অক্টোবর আশিসকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উদ্ধার হয় তাঁর বন্দুক। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সবার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনছে সিট। সবমিলিয়ে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় রীতিমতো চাপে গেরুয়া শিবির।