প্রাথমিক টেট (TET) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, ৩ দিনের মধ্যে মামলাকারীদের ইন্টারভিউ নিতে হবে। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে ভুল স্বীকার করে নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education)। পর্ষদ জানিয়েছিল, ‘নম্বর দেওয়া ও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছে’।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক টেট-মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিংয়ের এজলাসে ওঠে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন, নিয়োগ নিয়ে যাঁদের অভিযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, একটি নতুন পোর্টাল তৈরি করতে হবে পর্ষদকে। সেখানে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। ১৫ দিনের মধ্যে যে সব অভিযোগ জমা পড়বে, তা খতিয়ে দেখে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কেউ কেউ উপহাস করলেও গরুকে ‘মা’ মনে করি: যোগীরাজ্যে ভোট প্রচারে ‘স্বমহিমায়’ মোদি
৭৩৮টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালের টেটে (TET) উত্তীর্ণদের শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ের ডাকার জন্য একটি তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই তালিকার বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High court) মামলা দায়ের করেন পাঁচ পরীক্ষার্থী। মামলাকারীদের অভিযোগ, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৬ টি প্রশ্ন ভুল ছিল। সে সময় পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) বলেছিল ওই ৬ টি প্রশ্নের যে কোনও উত্তর দিলেই তাঁদের নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরেও তাঁদের নম্বর দেওয়া হয়নি। মামলাটি আবার বৃহস্পতিবার উঠলে হাইকোর্ট মামলাকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
চলতি মাসেও নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকে (Saltlake) টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ চলে। একাধিককে আটক করে পুলিশ। আগেও নিয়োগের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন টেট উত্তীর্ণরা। তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu) জানিয়েছিলেন, ‘যাঁরা যোগ্য তাঁরা চাকরি পাবে। স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হবে।’