ত্রিপুরার বিজেপিপন্থী সংবাদপত্রে মোদির ঢালাও প্রশংসায় জয়ন্ত ঘোষাল

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির প্রশংসা করার পাশাপাশি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) ঢালাও প্রশংসা করতে দেখা গেল জয়ন্ত ঘোষালকে

দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির(Atal Bihari Vajpayee) জন্মদিন উপলক্ষে সম্প্রতি ত্রিপুরায় বিজেপির অলিখিত মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত সংবাদমাধ্যম ‘ত্রিপুরা ভবিষ্যৎ’-এ কলম ধরেছিলেন সাংবাদিক তথা রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা জয়ন্ত ঘোষাল(Jayanta Ghoshal)। আর সেখানেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির প্রশংসা করার পাশাপাশি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) ঢালাও প্রশংসা করতে দেখা গেল জয়ন্ত ঘোষালকে। রাজ্য সরকারের প্রাক্তন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর তরফে এভাবে নরেন্দ্র মোদির ঢালাও প্রশংসা তাও আবার ত্রিপুরা বিজেপি সংবাদপত্রে স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতিতে জল্পনা বাড়িয়েছে।

ত্রিপুরার ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জয়ন্ত ঘোষাল অটল বিহারি বাজপেয়ি প্রসঙ্গে লিখেছেন, যখন কোন রাজনৈতিক নেতা বড় পদে যান তখন যে সকল গুন থাকা আবশ্যক তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রজ্ঞা। এই প্রজ্ঞা কোন কেতাবি বিদ্যা নয়, এটি হল দূরদর্শিতা এবং রাজনীতি সম্পর্কে আত্মজ্ঞান। যা অটল বিহারি বাজপেয়ির মধ্যে পুরো মাত্রায় ছিল। বাজপেয়ির শাসনকালে দেশ কতখানি এগিয়েছে এ প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। বাজপেয়ির সঙ্গে একই সুরে সুর টেনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাও তুলে ধরেন জয়ন্ত ঘোষাল। তিনি বলেন, “অটল বিহারি বাজপেয়ি প্রয়াণের পর তার যোগ্য উত্তরসূরি যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও মোদির সঙ্গে বাজপেয়ির কোনও তুলনা হয়না। বিজেপির জন্য যে কাজগুলি রেখে গিয়েছিলেন অটল বিহারি বাজপেয়ি সেই অসমাপ্ত কাজগুলো করে যাবার চেষ্টা করছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

আরও পড়ুন:সব পুরসভা জিততে হবে, লক্ষ্য স্থির করে কর্মীদের কী বলল তৃণমূল?

তবে জয়ন্ত ঘোষালের মুখে এভাবে ‘যোগ্য উত্তরসূরি’ মোদির প্রশংসা তাও আবার বিজেপির অলিখিত মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত সংবাদপত্রে(তৃণমূলের কুৎসা করাই যার একমাত্র কাজ) স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ছিলেন সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষাল। ২০২০ সালে জয়ন্ত ঘোষালকে রাজধানীতে ইনফরমেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসার নিয়োগ করেছিল নবান্ন। যার ফলে সিনিয়র এই সাংবাদিক দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সমন্বয় রক্ষার কাজ করতেন। যদিও বর্তমানে তিনি আর সেই পদে নেই। তবে তাঁর মুখে এভাবে মোদির প্রশংসা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলছে রাজ্য রাজনীতিতে।

Previous articleI-League: রবিবার থেকে শুরু আইলিগ, প্রথম ম‍্যাচে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের মুখোমুখি ট্রাউ এফসি
Next articleKultali: কুলতলিতে চারদিন ধরে বাঘে মানুষে লুকোচুরি, বাড়ছে আতঙ্ক