উপাচার্য নিয়োগ বিতর্ক: ধনকড়ের হুঁশিয়ারির পর টুইটে “পাগলা জগাই” লিখলেন ব্রাত্য

রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে সাতসকালে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar)। নিয়োগ প্রত্যাহার না করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও একটি টুইট করেছেন তিনি। যেখানে তুলে ধরেছেন সুকুমার রায়ের জনপ্রিয় কবিতা ‘লড়াই ক্ষ্যাপা’-র আটটি পঙক্তি। এই আট পঙক্তিতে বর্ণিত হয়েছে পাগলা জগাইয়ের চরিত্র। কবিতার উপরে তিনি লিখেছেন “প্রসঙ্গ : অনুমোদন”। ফলে বুঝতে খুব বিশেষ অসুবিধা হয় না ব্রাত্য বসুর এই টুইট কাকে উদ্দেশ্য করে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য আচার্যের অনুমতি নেওয়া হয়নি। কলকাতা প্রেসিডেন্সি যাদবপুরের মতো রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনা ঘটেছে। এমনই অভিযোগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, “সুনির্দিষ্ট আদেশ অমান্য করে, আচার্যের অনুমতি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই এই নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগের কোনও আইনি অনুমোদন নেই। এই সিদ্ধান্ত শীঘ্রই প্রত্যাহার করা না হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।” রাজ্যপালের টুইট ঘিরে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে ঠিক সেইসময় ব্রাত্য বসু তরফে সুকুমার রায়ের বর্ণিত ‘পাগলা জগাই’য়ের চরিত্র তুলে ধরায় বিষয়টি নতুন মাত্রা নিয়েছে।

 

আরও পড়ুন:GANGASAGAR : গঙ্গাসাগরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা প্রশাসন

অন্যদিকে, রাজ্যপালের টুইট প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “উপাচার্য নিয়োগের অধিকার রাজ্য সরকারের থাকে। রাজ্য সরকার যদি কাউকে নিয়োগ করে থাকে তবে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে করেছে। এখানে রাজ্যপালের ব্যবস্থা নেওয়ার কোন অধিকার নেই। সরকার যা করেছে ঠিক করেছে। এমনিতেও রাজ্যপালকে আচার্য পর থেকে সরানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকার। কারণ ওনার কাছে ফাইল গেলে দিনের পর দিন পড়ে থাকে উনি ইচ্ছে করে সই করেন না। সুতরাং ওনার সই ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চলবে।”

প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কে এর আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গোটা ঘটনার জন্য রাজ্যপালকে দায়ী করে তিনি বলেছিলেন, “উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যপালের প্রতিনিধির তরফে উপাচার্যের নাম বাছাই করা হয়। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে প্রতিনিধি পাঠানো হলেও বারবার রাজ্যপাল প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।”

Previous articleGANGASAGAR : গঙ্গাসাগরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা প্রশাসন
Next articleআগের সরকারগুলি উত্তরাখণ্ডকে দু’হাতে লুটেছে, প্রকল্প উদ্বোধনে গিয়ে নিশানা মোদির