Monday, August 25, 2025

জোট করুন মেয়েকে মন্ত্রী করব: মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলতে পাওয়ারকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন খোদ মোদি

Date:

Share post:

মহারাষ্ট্রে(Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনের পর সেখানে সরকার গড়তে বিজেপি কতখানি মরিয়া ছিল সে ছবি দেশবাসীর স্মৃতিতে আজও অমলিন। চলছিল দল ভাঙানোর সমস্ত রকম ষড়যন্ত্র। এমনকি মাঠে নেমেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। অতীতের সেই স্মৃতি তুলে ধরে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার(Sharad Pawar)। বুধবার পুনেতে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি জানালেন, কোন রাখঢাক না রেখেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি তাকে অফার দিয়ে ছিলেন, “আমাদের দলের সাথে জোট করুন আপনার মেয়েকে (সুপ্রিয়া সুলে) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হবে।” যদিও এনসিপি’র প্রধান প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। পাওয়ারের তরফ থেকে এই ‘রাজনৈতিক সিক্রেট’ ফাঁস হওয়ার পর বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর দেখা যায় কোন দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এই অবস্থায় বিজেপির শরিক দল শিবসেনা সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার নিয়ে। ভেঙে যায় তাদের জোট। রাজনৈতিক সংকট যখন চরম আকার ধারণ করেছে তখন এনসিপি’র প্রধান শরদ পাওয়ারের কাছে প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলা হয়, তাদের সঙ্গে জোট করলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হবে সুপ্রিয়া সুলেকে। অবশ্য শুধু পাওয়ারের উপর ভরসা করে বসে থাকেনি গেরুয়া শিবির। পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর টোপ দিয়ে এনসিপিতে ভাঙন ধরায় তারা। এমনকী রাতের অন্ধকারে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের শপথও নিয়ে ফেলে। কিন্তু বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগে‌ বিজেপিকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে। অজিত পাওয়ার আবার সদলবলে ফিরে আসেন এনসিপিতে। বিজেপিকে রীতিমতো লজ্জায় ফেলে এরপর এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা জোট সরকার গঠন করে।

আরও পড়ুন:শিলিগুড়িতে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় গৌতম, অশোকের বিরুদ্ধে আলম, শঙ্করের চ্যালেঞ্জ প্রতুল

সম্প্রতি দু’বছর আগে সেই রাজনৈতিক গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। এ ঘটনায় রীতিমতো বিব্রত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তারা অবশ্য নীরবতা পালনের রাস্তায় হাঁটলেও মহারাষ্ট্র বিজেপি তরফে জানানো হয়েছে পাওয়ার “অর্ধসত্য কথা বলছেন”। তবে যাই হোক না কেন শারদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার প্রস্তাব পাঠিয়ে বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছিল মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে কতখানি মরিয়া তারা। কারণ গোয়া, মণিপুর, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক একের পর এক রাজ্যে বিধানসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও নানাবিধ রাজনৈতিক জোট গড়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। লক্ষ্য তাদের একটাই ছিলো যেভাবে হোক রাজ্যে রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন কর্মসূচি।

spot_img

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবার সন্ধেয় গড়িয়াহাটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন,...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...