বিশেষ প্রতিনিধি, গুয়াহাটি

নতুন বছরে কেএলও প্রধান জীবন সিংহের ধর্মপুত্র দেবরাজ সিংহ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই দেবরাজ দাবি করেছেন, শান্তি সংক্রান্ত আলোচনার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দিক থেকেও ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও রাজ্য সরকারের দিক থেকে এই বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি।

তবে, মধ্যস্থতাকারী হিসাবে যে প্রাক্তন কেএলও জঙ্গিদের এতদিন কাজে লাগানো হচ্ছিল, তাঁদের একাংশের মত, জীবন সিংহকে এতদিন ভুল পথে চালিত করা হচ্ছিল।অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু সেই আলোচনার প্রক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন- Covid-19: উৎসব পালনের মাশুল, দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৩৩ হাজার পার

দেবরাজের দাবি অনুযায়ী, পৃথক রাজ্যের বদলে স্বশাসিত পরিষদের দাবিতে রাজি হওয়ার জন্য অতীতে আত্মসমর্পণ করা টম অধিকারী, মালখান সিংহদের মতো নেতাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। যা কোনও ভাবেই মানা হবে না। ছেলে দেবরাজের মাধ্যমে জীবন স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাঁরা শুধু কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। এই পরিস্থিতিতে ক্রমেই জটিল হয়ে পড়েছিল শান্তি আলোচনা।
প্রাক্তন আর এক কেএলও জঙ্গির মতে, “জীবন এ রাজ্যের বাসিন্দা। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বাদ দিয়ে শান্তি আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার কোনও সম্ভবনাই নেই। আমার বিশ্বাস জীবনও সেটা জানেন। কিন্তু মনে হচ্ছে তাঁকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে।” এরই মধ্যে দেবরাজ এ দিন দাবি করেন, নতুন বছরের শুরুতেই শান্তি আলোচনায় অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে।
হিমন্ত দেবরাজকে জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে এই মাসেই বহু প্রতীক্ষিত শান্তি আলোচনা শুরু হবে। অসমে কোচ-রাজবংশীরা দীর্ঘদিন ধরেই তফসিল উপজাতির মর্যাদা দাবি করছেন।
