নতুন বছরের শুরুর দিন থেকে জমিয়ে শীতের আমেজ নিতে শুরু করেছিল রাজ্যবাসী। কিন্ত জানুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ফের ছন্দপতন। দাপট কমছে ঠান্ডার। মৌসম ভবন সূত্রের খবর, উত্তর-পশ্চিম ভারতে পর পর দু’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরেই রাজ্যে শীতের কনকনে ঠান্ডা অনুভব করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি, আগামী সপ্তাহ থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে।
আরও পড়ুন:Booster Dose: বুস্টার ডোজ নিতে দ্বিতীয় ডোজের সঙ্গে ব্যবধান থাকতে হবে ৯ মাস, জানাল ICMR
কাঁটা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তাই বারবার বাঁধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় মুখ ঢেকেছিল তিলোত্তমা । যদিও বেলা বাড়তেই আকাশ পরিষ্কার। আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি।
আগামী সপ্তাহের গোড়ায় কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ জেলাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা বেশি থাকতে পারে। ফলে শীতেও হাড়হিম করা ঠান্ডার দেখা মিলবে না। তবে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে পারদ পতন হয়েছিল। পানাগড় এবং আসানসোলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে যথাক্রমে ৭.৯ এবং ৮.৮ ডিগ্রিতে। দার্জিলিঙে ৪.৪, কালিম্পঙে ৮ এবং কোচবিহারের তা হয়েছে ৮.৯ ডিগ্রি। পুরুলিয়া এবং শ্রীনিকেতনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সাড়ে ৯ ডিগ্রি। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর, বসিরহাট, নদিয়ার কৃষ্ণনগর, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি রয়েছে।