কাশ্মীরিদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ আটকে পড়া পর্যটকরা

বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাদের এখন রক্ষাকর্তা কাশ্মীরিরা। হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ট্রাভেল এজেন্টরা  থাকা-খাওয়ার খরচ নিচ্ছেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা আশ্বস্ত করছেন, ‘একদম চিন্তা করবেন না। আমার বাড়িতে চলুন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন ফিরবেন।’

আম-কাশ্মীরিদের এমন আতিথেয়তা দেখে আপ্লুত পর্যটকরা। একবাক্যে তাঁরা এটাও মানছেন—‘যে যাই বলুক, কাশ্মীরিদের হৃদয় সত্যিই খুব বড়।’

টানা প্রায় এক সপ্তাহ তুমুল তুষারপাতে বিধ্বস্ত প্রায় গোটা ভূস্বর্গ। শ্রীনগর বিমানবন্দরে উড়ান ওঠানামা বন্ধ। স্তব্ধ শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক। ফলে স্থানে স্থানে আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। ভ্রমণের যাবতীয় রসদ খুইয়ে তাঁরা এখন অসহায়। কারও হাতে টাকা নেই। কারও আবার টাকা থাকলেও খাবার পাচ্ছেন না। পানীয় জল পাচ্ছেন না। শ্রীনগর বিমানবন্দরের বাইরে কনকনে ঠান্ডায় রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে কাউকে কাউকে। জাতীয় সড়কের ধারেও অস্থায়ী ঘাঁটি গেড়ে থাকছেন কেউ কেউ।

আর এখানেই ত্রাতা হয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন কাশ্মীরিরা। যে যাঁর মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। হোটেল মালিকরা ঠিক করেছেন খাওয়া-দাওয়ার খরচ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেবেন। বাড়ি ফিরে টাকা মেটানোর আশ্বাসও দিচ্ছেন। কেউ আবার সম্পূর্ণ ফ্রি’তে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ট্রাভেল এজেন্টরা নিজেদের বাড়িতে থাকার অফার দিচ্ছেন। খালি হাতে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ারও বন্দোবস্ত করে রাখছেন। রাস্তা-ঘাটে যান চলাচল কিছুটা ছন্দে ফিরলেই তাঁরা সে কাজ করবেন। পিছিয়ে থাকছেন না কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দারাও। পর্যটকদের অভয় দিয়ে তাঁরা বলছেন, ‘এই কয়েকদিন আমার বাড়িতেই থেকে যান।’

শুধু কাশ্মীরিরাই নন, আটকে থাকা পর্যটকদের পাশে দাঁড়িয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন। এদিন রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর আহসান উল হক চিস্তি বলেছেন, ‘পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য আমরা বিশেষ একটি দল গঠন করেছি। সেই সঙ্গে একটি হেল্পলাইনও চালু করেছি। পর্যটকদের সুষ্ঠুভাবে পৌঁছে দিতে সবরকম চেষ্টা চলছে।’

Previous articleচির বিদায় নিলেন দেশের প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় অসীম গঙ্গোপাধ্যায়
Next articleBreakfast news: ব্রেকফাস্ট নিউজ