দেশ জুড়ে করোনা (COVID 19) পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। যার মধ্যে অন্যতম স্কুল, কলেজ-সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত। এই অবস্থায় এবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের(World Bank) শিক্ষা সংক্রান্ত গ্লোবাল ডিরেক্টর হামি সাভেদ্রা জানালেন, অতিমারিতে স্কুল বন্ধ রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই। যদি সংক্রমণের নতুন ঢেউ আসেও, সে ক্ষেত্রে স্কুল বন্ধ করাটা হতে পারে সর্বশেষ পদক্ষেপ এমনটাই অভিমত বিশ্ব ব্যাংক কর্তার (World Bank)।

আরো পড়ুন – কবে টিকা পেতে চলেছে ১২-১৪ বছর বয়সীরা? জানিয়ে দিল কেন্দ্র

শিক্ষাঙ্গনে করোনা ভাইরাসের প্রভাব ঠিক কতটা, এই নিয়ে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে হামি সাভেদ্রার টিম। তাঁর মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্কুলে যাওয়া নিরাপদ নয় এবং স্কুল খোলার ফলে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে, এমন বলার মতো কোনও প্রমাণ নেই। এমনকী, ছোটদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখারও কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই বলেই মত তাঁর। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাভেদ্রা বলেন, ‘‘স্কুল খোলা এবং করোনা ভাইরাস (COVID 19) ছড়ানোর মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। এমন কোনও প্রমাণ নেই, যাতে এই দুটি বিষয়কে জোড়া যায়।’’

বিশ্ব ব্যাঙ্কের(World Bank) বিভিন্ন সমীক্ষাভিত্তিক মডেল বলছে, স্কুল খোলা থাকলে ছোটদের ক্ষতির আশঙ্কা নিতান্তই কম। বরং স্কুল বন্ধ থাকায় লেখাপড়ার যে ক্ষতি হচ্ছে, তা অপরিসীম। সাভেদ্রার কথায়, ‘‘২০২০ সালে আমরা জানতাম না, কী ভাবে এই অতিমারির সঙ্গে লড়তে হবে। অধিকাংশ দেশের প্রথম প্রতিক্রিয়াটা ছিল স্কুল বন্ধ করে দেওয়া। তারপর একের পর এক ঢেউ এসেছে-গিয়েছে, ২০২০-র শেষ ভাগ এবং ২০২১-এর পরিস্থিতি থেকে কিছু প্রমাণও হাতে এসেছে। কিছু দেশ স্কুল খুলে দিয়েছে। সংক্রমণের বিভিন্ন ঢেউ চলাকালীন তো অনেক দেশে তো স্কুল বন্ধই ছিল। কাজেই তথ্য বলছে, সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে স্কুলের কোনও প্রভাব নেই।’’
২০২০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কেরই একটি সমীক্ষা-রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, অতিমারির জেরে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার ফলে ভারত ৪০ হাজার কোটি ডলারের ভবিষ্যৎ আয় হারাতে পারে।

করোনার জেরে শিক্ষা জগতে এসেছে পরিবর্তন। অনলাইন ক্লাসের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। সুসংহত ভাবে পাঠ্যক্রম সাজিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পক্ষপাতী হামি সাভেদ্রা। তাঁর মতে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুসংহত ভাবে সাজাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে সরকারকে।

কিন্তু টিকাকরণ হওয়ার আগে কীভাবে পড়ুয়াদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠানো যাবে তা নিয়ে কোনও দিশা দেখাতে পারেননি বিশ্বব্যাংকের কর্তা।
