ফের ধস বীরভূম বিজেপিতে (BJP)। ৩০ জন পদাধিকারীর একযোগে পদত্যাগ। পুরভোটের আগে অবশ্য এমন ঘটতে পারে বলে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব আশা করেছিলেন, এমনটাই সূত্রের খবর। তাঁদের দাবি, শাসকদলের টিকিট পেলে জয় নিশ্চিত ভেবেই এখন বিজেপি ছাড়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়েছে। এব্যাপারে দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি পর্যবেক্ষক তপন সাহার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও, জেলার একমাত্র দুবরাজপুর বিধান সভা থেকে জেতা বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, কেউ কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য যেতে পারেন। তবে দলে থাকলে দলের নিয়মনীতি মেনেই চলতে হবে।

জেলা কমিটির সদস্য প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, “আমরা পদ ও দল দুটোই ছেড়েছি।” ওই ৩০ জনের তৃণমূলে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই পদত্যাগ বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা, বলে মনে করছেন অনেকেই ।

আরও পড়ুন-অখিলেশের পাশে মমতা: ফেব্রুয়ারিতে লখনউয়ে প্রচারসভা তৃণমূল সুপ্রিমোর

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই একইভাবে বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি শেখ সামাদ-সহ জেলার সংখ্যালঘু সেলের সব মণ্ডল সভাপতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন জেলা সহ-সভাপতি উত্তম রজক ও দুবরাজপুর বিধানসভার অন্তর্গত সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। তারও আগে বিজেপি ছেড়ে ছিলেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক, জেলা সম্পাদক এবং আদিবাসী নেতাও। এবিষয়ে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য প্রভাত চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “আমি ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম। পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু বিজেপি দলটা হিন্দু হিন্দু করে ব্যবসা করে। তারা নিজেদের আখের গোছায়। বিজেপি নেতৃত্ব পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত নোংরা এবং অসৎ। যে কদিন ছিলাম অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে ছিলাম। তাই মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ আমরা দল ছাড়ার ঘোষনা করলাম। আগামী দিনে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করব।”
তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, “বিজেপিতে কোনও সভ্য লোক থাকতে পারে না। সকলকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই।”