Calcutta University : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠনে নারী বিদ্বেষ! 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই (Calcutta University)সংস্কৃত অনার্স তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষায় এ বার নারী-বিদ্বেষী প্রশ্ন এসেছে।

“নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেনো নাহি দিবে অধিকার!” – রবি ঠাকুরের প্রশ্ন নিছক অমূলক ছিল না সেই সময়ে, আর সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক আজকের যুগেও। নাহলে ২০২২ এ দাঁড়িয়ে কেনই বা আলোচনার শিরোনামে আসবে নারী বিদ্বেষ? তাও আবার তিলোত্তমা কলকাতায়! সূত্র বলছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই (Calcutta University)সংস্কৃত অনার্স তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষায় এ বার নারী-বিদ্বেষী প্রশ্ন এসেছে।

আরো পড়ুন : NARENDRA MODI: ‘ভারতের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে’, সতর্কবার্তা মোদির

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University)  সংস্কৃত অনার্সের পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় ‘সংস্কৃত রাইটিং স্কিল’ পত্রে একটি অনুচ্ছেদ দেওয়া হয় এবং তার সাথে কিছু প্রশ্ন দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ দেবনাগরী হরফের সেই অনুচ্ছেদটি তে লেখা ছিল , ‘শ্রী-হীন এক মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তিত বাবা-মা। বাবা-মায়ের সেই চিন্তা দেখে মেয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন।’  আর এরপরই সরব হয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। যে দেশ তার নারী শক্তি কে নিয়ে, নারী প্রতিভা কে নিয়ে অহংকার করে সেই শিক্ষায় কি আদৌ শিক্ষিত আমরা, উঠছে প্রশ্ন! এখানেই শেষ নয় সংস্কৃত অনুচ্ছেদে লেখা ছিল, ‘মেয়ের বিয়েতে ভিটে বিক্রি করেও পর্যাপ্ত টাকা হবে না। এই শ্রীহীন মেয়েকে কোন পুরুষই বা বিয়ে করতে পারে? সবদিক বিবেচনা করে  নিশ্চিত ভাবেই মা বুঝলেন, দাসীবৃত্তিই তার( মেয়েটির) পরিণতি। হতভাগিনী শিশুকন্যা মা-বাবার কটু মন্তব্য কে মজার ছলেই শুনতো। রূপকথার গল্প শুনতে শুনতে  শিশুমন হয়তো বা রাজপুত্রের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।  তাই মায়ের এহেন দুশ্চিন্তায় সেই নাবালিকা মেয়েটি  মিষ্টি হেসে বলে, ঠিক সময়ে রাজপুত্র আসবে। আমাকে দূরে নিয়ে যাবে। তাই এখন কেঁদো না।’

এরপরই  বিতর্ক ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত , প্রশ্ন পত্রের দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল এটি। এরজন্য কোনও অপশন দেওয়া হয়নি। এই অনুচ্ছেদের নিচেই ছিলো বেশ কিছু প্রশ্ন।

কেন পর্যাপ্ত টাকা হবে না?

মা কী নিশ্চিত বুঝলেন?

সেই নাবালিকা কী বলল?

কোন প্রসঙ্গে এই অনুচ্ছেদ লেখা হয়েছে?

এবং সর্বশেষ প্রশ্ন টি ছিলো ‘ শ্রী হীনা’ শব্দের অর্থ কী?

প্রশ্ন থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় নারী বিদ্বেষ শুধু নয় ‘সুন্দর রূপের জয় সর্বত্র’ এই ভাবনা কেই কোথাও যেনো সিলমোহর দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে । শিক্ষা শিবির এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলি থেকে সংস্কৃতের কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা যায়।

 

Previous articleজ্বলন্ত স্টোভের বিষাক্ত ধোঁয়ায় ফ্ল্যাটের মধ্যেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু মা ও চার সন্তানের
Next articleফের বড় সাফল্য পেল DRDO, নয়া প্রযুক্তির ব্রহ্মস সুপারসনিক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ