জয়প্রকাশ-রীতেশকে শোকজ, বিস্ফোরক শান্তনু বললেন, সব বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক করব

বিজেপির সংসারে জোর লড়াই। লড়াই থামার উপায় নেই। বরং কাদা ছোড়াছুড়ি আরও তীব্র হলো রবিবার। শোকজ চিঠি পাঠানো হলো জয়প্রকাশ মজুমদার আর রীতেশ তেওয়ারিকে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দল বিরোধী মন্তব্য। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের চিঠি জয়প্রকাশ বা রীতেশ এখনও পাননি। কিন্তু চিঠির কথা শুনে প্রকাশ্যেই দলীয় নেতৃত্বকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেছেন, কতজনকে বের করবে? আমি গোটা রাজ্যের সব বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক করব। তার মানে সব বিক্ষুব্ধদেরই কি বহিষ্কার করবে?

রবিবার ফের পিকনিক রাজনীতি বিজেপির বিক্ষুব্ধদের। এদিন সকাল থেকে গোবরডাঙায় পিকনিক হয়। ছিলেন শান্তনু সহ এলাকার বেশ কিছু পরিচিত বিজেপি নেতা। শান্তনু বলেন, আমি শুধু নিজের এলাকা নয়, সারা রাজ্যের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক করব। দলে কোথাও ক্ষোভ থাকলে তাকে তো প্রশমন করতে হবে। শান্তনু যখন গোবরডাঙায় বসে একথা বলছেন, তখন কলকাতায় বসে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এমন কোনও কর্মসূচি দলের নেই। তাহলে শান্তনু করছেন কী করে? জবাবে সুকান্ত কার্যত মেনে নেন ঠিক হচ্ছে না। যদিও হাল্কা করার জন্য বলেন, পিকনিক নিয়ে দলীয় নির্দেশ থাকতে পারে না। আমায় ডাকলে আমিও যাব। ঠিক তারপরেই জয়প্রকাশ রীতেশকে শোকজ করা হয়।

আরও পড়ুন:বাবাকে সম্মান দেয়নি কংগ্রেস, বিজেপির উগ্র হিন্দুত্বকেও নিন্দা নেতাজি কন্যার

বিজেপির অন্দরমহল বলছে, এটা আসলে ঝিকে মেরে বউকে শেখানোর রাজনীতি। এই দুজকে চিঠি দিয়ে আসলে শান্তনুকে বার্তা দেওয়া হলো। লক্ষ্যণীয় হলো, গোবরডাঙার পিকনিকে রবিবার ছিলেন না জয়প্রকাশ ও রীতেশ।

Previous articleদেশে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ!
Next articleনেতাজি সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে বিঁধল হিন্দু মহাসভা