বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পদ্মপ্রাপ্তি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপান-উতোর চলছে। কেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে পদ্মসম্মান দেওয়া হবে সে নিয়ে রাম-বাম ঘোঁটের প্রসঙ্গও এসেছে। এবং সে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক অব্যাহত।
আরও পড়ুন:Higher Secondary Practical Class:অনলাইনেই উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এমন কোনও ‘যুগান্তকারী’ কাজ করেননি যার জন্য তাঁকে পদ্মসম্মান দেওয়া যেতে পারে। কুণালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আসল প্রশ্নের ধারকাছ দিয়ে না গিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কুণালকে চিটফান্ড কাণ্ড নিয়ে আক্রমণ করেন। তাঁর জেলজীবন নিয়েও কটাক্ষ করেন। আর সে প্রসঙ্গ তুলতেই সুজন এবং তাঁর দল সিপিএমের দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দিলেন,ধুইয়ে দিলেন কুণাল। ট্যুইটারে একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেন। কী রয়েছে সেই ছবিতে?
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চিটফান্ড কর্তা অনুকূল মাইতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সংবর্ধিত করছেন। পাশে আর এক সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। ছবির পাশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতিও রয়েছে। কী সেই বিবৃতি? বুদ্ধবাবু বলছেন, কোনও চিটফান্ড সংস্থাকে ধারকাছে ঘেঁষতে দেন না।

ছবি এবং লেখা পোস্ট করে সুজনকে কুণালের প্রশ্ন –

১. যদি এই ছবি সঠিক হয় তাহলে তদন্ত হোক।

২. ছবি ভুয়ো না হলে আইকোর মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন সাংসদের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।


৩. চিটফান্ড কর্তার(যিনি গ্রেফতার হওয়ার পর মারা যান) সঙ্গে সিপিএমের দুই রাজনৈতিক নেতা কী করছিলেন?

৪. অন্যের ভুল খুঁজে বেরানোই সিপিএমের স্বভাব। সময় এসেছে এবার তারা আয়নার মুখোমুখি দাঁড়াক । কুণালের বক্তব্য চিটফান্ডের শুরুয়াত যে রাজনৈতিক দলের হাত ধরে তারা শুধু সমালোচনা করবে, আর নিজেদের ‘পাপ’ দেখতে পাবে না, তা হয় না।

This picture is needed to be probed.
If it is not fake, then the role of Ex CM & ex MP of CPM must be investigated in ICORE scam.
What were they doing with chit fund owner Anukul Maity? ( later arrested and died).
CPM critises everybody.
They should stand in front of mirror. pic.twitter.com/aTze1j2YkB— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) January 28, 2022
বুদ্ধদেবের পদ্মপ্রাপ্তির পরেই রাম-বাম ঘোঁট নিয়ে সোচ্চার কুণাল ঘোষ। কোন যুক্তিতে বুদ্ধদেবের পদ্মপ্রাপ্তি, তার কোনও সঠিক ব্যাখ্যা ছিল না সুজনবাবুদের কাছে। জবাব দিতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন সুজন। যথারীতি বিষয় থেকে সরে গিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমে আসেন। যেটা সিপিএমের ‘বাল্যকালীন অভ্যাস’।
