উদ্বাস্তু ভোট টানতে মরিয়া বিজেপির এবার হাতিয়ার মরিচঝাঁপি কেলেঙ্কারি

উদ্বাস্তু ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে এবার বাম আমলে মরিচঝাঁপি(Marichjhapi) কেলেঙ্কারিকে হাতিয়ার করল গেরুয়া শিবির। আগামী সোমবার বিজেপি তরফে এক নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি সুন্দরবনের(Sundarban) এই উদ্বাস্তু এলাকায় গেছে বিজেপির তপশিলি মোর্চার প্রতিনিধিদল। বিজেপি(BJP) তরফে এই সংক্রান্ত একটি ব্যানার প্রকাশ্যে আনা হয়েছে যেখানে মরিচঝাঁপি কাণ্ডকে ‘সর্ববৃহৎ তপসিলি গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, “বিজেপি তফসিলি মোর্চার ডাকে মরিচঝাঁপি চলো”। ব্যানারে ছবি রয়েছে, নরেন্দ্র মোদি, জে পি নাড্ডা ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পলের।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এটা আমাদের মৌলিক রাজনৈতিক অবস্থান, উদ্বাস্তুদের অধিকার, নাগরিকত্ব দেওয়া।” শুধু তাই নয় মরিচঝাঁপি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলে জেলায় জেলায় বিজেপি তপশিলি মোর্চা অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য জানান, “মরিচঝাঁপির ইতিহাস যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভুলে না যায়, তার জন্য আমরা ফের তা সামনে আনতে চাইছি। এটা আমাদের মৌলিক রাজনৈতিক অবস্থান।” পাশাপাশি বিজেপির লক্ষ্য তৎকালীন মরিচঝাঁপির উদ্বাস্তুরা যেখানে বসবাস করেন, তাঁদের অবস্থান খুঁজে কেন্দ্রীয় সরকারি সুযোগসুবিধা পাইয়ে দেওয়া।

আরও পড়ুন:মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিনেও ফের রাজ্যকে নিশানা রাজ্যপালের, কী বললেন জ্যোতিপ্রিয়?

উল্লেখ্য, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৭৯ সালের জানুয়ারির মাসে ঘটেছিল ভয়াবহ মরিচঝাঁপি কাণ্ড। বাংলাদেশ থেকে আসা হাজার হাজার উদ্বাস্তু সুন্দরবনের এই দ্বীপে বসতি স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো পুলিশি অভিযানে তাদের উচ্ছেদ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের গুলিতে বহু উদ্বাস্তুর মৃত্যু হয়। সরকারের এমন নৃশংস ভূমিকায় চারপাশে শোরগোল ওঠে। বিতর্ক, আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে। তবে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিল।

Previous articleমহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিনেও ফের রাজ্যকে নিশানা রাজ্যপালের, কী বললেন জ্যোতিপ্রিয়?
Next articleভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিসট্যান্ট: ধনকড়- পেগাসাস অধিকারীকে নয়া জুটি হিসাবে চিহ্নিত কুণালের