প্রথমে বেসুরো। পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। রাজ্য নেতৃত্বের উপর অনাস্থা, স্বজনপোষণের অভিযোগ। এরপর শোকজ। সাসপেন্ড। এবং দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্ত-ই থাকতে হচ্ছে রাজ্য বিজেপির (BJP) অতিপরিচিত দুই নেতা রীতেশ তিওয়ারি (Ritesh Tiwary) এবং জয়প্রকাশ মজুমদারকে (Joyprakash Majumder)। সাসপেন্ড হওয়ার পরেও সংবাদ মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই মুখ খুলছেন এই দুই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা। নাম করে রাজ্য সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন)-কে তুলোধনা করছেন রীতেশ-জয়প্রকাশ।

আরও পড়ুন: ভোট চলাকালীন বুথ ফেরত সমীক্ষায় জারি নিষেধাজ্ঞা, নিয়ম ভাঙলে জেল- জরিমানা

অন্যদিকে সংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) কার্যত সমন্তরাল সংগঠন চালিয়ে তাঁর সংসদীয় এলাকায় রোজ বনভোজন করছেন, বলা ভালো “পিকনিক পলিটিক্স” করছেন। সেই আবহেই এবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে, ঠাকুরবাড়িতে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রীতেশ-জয়প্রকাশ। গতকাল, শনিবার অনেক রাত পর্যন্ত এই বৈঠক হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই শান্তনুর সঙ্গে বিদ্রোহী দুই নেতার এই বৈঠক ঘিরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, রাজ্য নেতৃত্বকে বাইপাস করে শান্তনুর নেতৃত্বে সমান্তরাল বিজেপি (BJP) চালানোর ভাবনায় রয়েছেন এই বিদ্রোহীরা।

যদিও কী কারণে শীতের রাতে ঠাকুরবাড়িতে এমন রুদ্ধদ্বার বৈঠক, সেটা অবশ্য খোলসা করেননি রীতেশ বা জয়প্রকাশ।
এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরেরও। তবে এটা স্পষ্ট, রাজ্য নেতৃত্বকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ দিতে কোমর বেঁধে নামছেন বিদ্রোহীরা। যার নেতৃত্বে শান্তনু ঠাকুর।
