Corona Update: ওমিক্রন সেরে গেলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘লং কোভিড’!

করোনা মুক্ত মানেই কিন্তু চিন্তা। মৃদু উপসর্গ কে একদম অবহেলা করবেন না।

আরটিপিসির (RTPCR) রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, জ্বর নেই, একটু সুস্থ বোধ করছেন! তাই বলে মৃদু উপসর্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো? ক্লান্তি, গলা ব্যথা, বমি, কাশি, সর্দি এই সব কিছুই হতে পারে ‘লং কোভিড'( Long Covid) এর উপসর্গ। তাই সতর্ক থাকুন!

৩ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ

সাম্প্রতিক কালে করোনা (CoronaVirus)তে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে এমন উদাহরণ অনেকটাই কম। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন ওমিক্রনের(Omicron) সংক্রমণের পর অনেকেরই মৃদু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। আর এই বিষয়টি কোনমতেই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।

ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন অনেকটাই মৃদু স্বভাবের। ফলত সংক্রমণের তীব্রতা বাড়লেও, মারাত্মক আকার ধারন করার ক্ষমতা কম। ওমিক্রনের দ্বারা সংক্রমিত হলে সেটিও হয় মৃদু, এমনই ধরে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, প্রায় সকলেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই চিকিৎসক এবং অতিমারি বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন যাতে কোনভাবেই ওমিক্রনকে হালকা ভাবে না নেওয়া হয়। উপসর্গ মৃদু হলেও  সতর্ক থাকা আবশ্যক।

করোনার নয়া প্রজাতির জেরে যাঁরাই সংক্রমিত হয়েছেন তাঁদের অধিকাংশেরই মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে। তাই প্রায় প্রত্যেকেই হোম আইসোলেশন বেছে নিয়েছেন। আগের দু’বারের তুলনায় মানুষের করোনা আতঙ্ক অনেকটা কমে গেছে, তাই অনেকেই মৃদু উপসর্গ দেখলেও খুব একটা প্রাধান্য দিচ্ছেন না।অনেকেই ভাবছেন যে আক্রান্ত হলেও বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা করোনা পরবর্তী উপসর্গ নিয়ে বেশ চিন্তিত। অল্পেতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, হালকা জ্বর, গলা ব্যথা, বমি, সর্দি কাশি, শরীরে ব্যথা এই সব উপসর্গ কেই চিকিৎসকরা ‘লং কোভিড’ বলে চিহ্নিত করেছেন। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ঘ্রাণজনিত সমস্যা ‘প্যারসমিয়া’তে। উপসর্গ মৃদু হলেও তার রেশ থেকে যাচ্ছে বহু দিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই বিষয়ে সতর্ক করছে। ওমিক্রনকে প্রাথমিক ভাবে সাধারণ শীতকালীন ঠান্ডা লাগা ভেবে এড়িয়ে গেলে চূড়ান্ত ভুল হবে।

এবার আসা যাক ‘লং কোভিড’ এর প্রসঙ্গে। করোনার তৃতীয় ঢেউ চলাকালীন অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, ক্লান্তির মতো উপসর্গগুলি থেকে যাচ্ছে। একেই ‘লং কোভিড’ বলা হচ্ছে, যা আগামীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা ডাক্তারদের।এর ফলে সংক্রমন মুক্ত হওয়ার মাস খানেক পরেও ফের কোনও শারীরিক সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে বলেও মনে করছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

Previous articleদেউচা পাচামি কোল ব্লকে জমিদাতাদের পরিবারের একজন চাকরি পাবেন: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleবাজেট ঘোষণার আগে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, ৬৫০ পয়েন্ট বৃদ্ধি সেনসেক্সের