“চ্যারিটি বিগিনস এট হোম”, সঙ্ঘবদ্ধ লড়াইয়েই চব্বিশে বাংলায় ৪২-এ ৪২ চান মমতা

"কারোও বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে চাই না। দলে নিয়ে গর্ববোধ করুন। আপনারা একসঙ্গে কাজ করলে আমি বাইরে কাজ করতে পারব"

করোনা পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বড় রাজনৈতিক জমায়েত বা সমাবেশ বন্ধ ছিল। টানা দু’বছর ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সমাবেশ হয়নি। একইভাবে ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানও করা যায়নি মেয়ো রোডে। পুরোটাই হয়েছিল ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে। মহামারির গ্রাফ এখন নিম্নমুখি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম (Netaji Indoor Stadium) তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কার্যত মহামিলন উৎসবের চেহারা নিয়েছিল।

এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের শেষ সাংগঠনিক নির্বাচন হয় ২০১৭ সালে। পাঁচ বছর পর ফের ২০২২ সালে আবার হলএই নির্বাচন। বুধবারের নির্বাচন হয় সর্বভারতীয় সভাপতি পদে জন্য। এই পদে দলের জন্মলগ্ন থেকে চেয়ারপার্সন হিসেবে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banarjee)। এবারও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী (AITC Chairperson) হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় (Uncontest) পুনর্নির্বাচিত (Re-Elected) হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banarjee)।

এরপর নেত্রী তাঁর ভাষণে রাজ্যে তাঁর দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিদিনে গোটা দেশের লড়াইয়ের পাশাপাশি নিজেদের সবচেয়ে শক্তঘাঁটি পশ্চিমবাংলার বুকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আগাম আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি বলেন, এরাজ্যে আগামী লোকসভায় ৪২টি আসনের সবকটি জয়ের ডাক দেন তিনি। আগামিদিনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলার দুর্গ অটুট রেখেই সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্যে এগোবে তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “আমাদের শৃঙ্খলা পরায়ণ দল। তাই দলের কেউ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করবেন না। আমাকে কথা দিতে হবে পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্ব করবেন না। দল একটাই। প্রতীক একটাই। বাংলায় আরও শক্তি বাড়াতে হবে। এখানে ৭-৮ জন বিজেপি নেতা-বিধায়ক আসতে চায়। তাঁরা আসুক। জোর করে নেব না। আমার একটাই লক্ষ্য, বাংলায় শিল্প তৈরি করা। চাকরি তৈরি করা। কারোও বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে চাই না। দলে নিয়ে গর্ববোধ করুন। আপনারা একসঙ্গে কাজ করলে আমি বাইরে কাজ করতে পারব। তৃণমূলের একটাই গ্রুপ। বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হঠাতে হলে নিজেদের ঘর সামলান। ঘরকে মজবুত করুন। আমার ৪২-এর মধ্যে ৪২-টাই চাই। ২ বছরে নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করুন।”

প্রসঙ্গত, এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া। রিটারনিং অফিসারের ভুমিকায় ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাক্ষী হওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলিকেও (বিজেপি বাদে) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ও অভিনব। এছাড়াও বিশেষ পর্যবেক্ষক , সাংবাদিক, অভিনেতা এবং বিশিষ্টরা। এবং ফের দলের শীর্ষপদ গ্রহণ করেই একতার বার্তা দিয়েছেন। সবশেষে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, সর্বভারতীয় স্তরে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। অন্য রাজ্যের নেতারাও তাতে জায়গা পাবেন। নতুন ওয়ার্কিং কমিটির প্রথম বৈঠক হবে দিল্লিতে।

Previous articleপাক সফর নিয়ে রীতিমতো দু:শ্চিন্তায় হ্যাজলউড
Next articleAmitabh Dayal : প্রয়াত বলিউড অভিনেতা ও পরিচালক অমিতাভ দয়াল