Lata Mangeshkar: পন্ডিত নেহেরু কেঁদে ফেলেছিলেন লতার গান শুনে

তাঁর গান শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন জওহরলাল নেহরু। শ্রীপঞ্চমী তিথিতে দেশবাসীকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। ভারতের নাইটঅ্যাঙ্গেল। সকাল ৮.১২ মিনিটে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনেই তাঁর শেষ নিঃশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী থেকে আমজনতা সকলে ভারাক্রান্ত। আগামী দুদিন রাষ্ট্রীয় শোক।

আরও পড়ুন:Lata Mangeshker : “যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিনই লতাজি থাকবেন “

১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম ইন্দোরে। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মঞ্চ অভিনেতা এবং গায়ক। ৪ বোন এবং ১ ভাই। আশা ভোঁসলে, লতা মঙ্গেশকর, ঊষা মঙ্গেশকর, মীনা মঙ্গেশকর এবং হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর।মাত্র ১৩ বছর বয়সে সঙ্গীত জগতে পা রাখেন লতা।এরপর সঙ্গীত জীবনের এক হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান গেয়েছেন। ৩৬টি আঞ্চলিক ও বিদেশী ভাষায় গান গাওয়ার রেকর্ড তাঁর। ১৯৬৩ সালে ২৬ শে জানুয়ারি লতা মঙ্গেশকরের গলায় ‘অ্যায় মেরি ওয়াতন কী লোগো’ গানটি শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন পন্ডিত নেহেরু।

পেয়েছেন একাধিক জাতীয় পুরস্কার। ভারতীয় রত্ন (২০০১), পদ্মবিভূষণ(১৯৯৯), এনটিআর জাতীয় পুরস্কার(১৯৯৯),মহারাষ্ট্রভূষণ(১৯৯৭), দাদাসাহেব ফালকে(১৯৮৯),ফান্সের পুরস্কার লিজিওঁন ওফ অনার(২০০৭), তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৫টি বাংলা চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছ’বার শ্রেষ্ঠ মহিলা শিল্পীর স্বীকৃতি। ১৯৭৪ সালে প্রথম ভারতীয় হিসাবে লন্ডনের রয়্যাল হ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

কোভিডে আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্ল্যন্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। বারবার তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি এবং অবনতি হয়েছে। শেষ মূহুর্তে তাঁকে ICU থেকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। হাসপাতাল তরফে জানানো হয়,তাঁর মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয় এবং সকাল ৮টা ১২ মিনিটে ৯২ বছর বয়েসে ভারতের নাইটঅ্যাঙ্গেল প্রয়াত হন।

Previous articleLata Mangeshker : “যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিনই লতাজি থাকবেন “
Next article“দ্বিতীয় লতা মঙ্গেশকর আর তৈরি হবে না”, সুর সম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে বললেন লোপামুদ্রা মিত্র