Thursday, August 21, 2025

স্মৃতিচারণে লতা : সারাদিন জল খেয়ে রেকর্ডিং করেছি!

Date:

Share post:

লতা মঙ্গেশকরের আসল নাম হেমা। ১৯২৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর। যিনি একজন নাট্য অভিনেতা ও গায়ক ছিলেন।আগের নাম হেমা থাকলেও বাবার “ভাব বন্ধন” নাটকে “লতিকার” চরিত্রে প্রভাবিত হয়ে হেমার নাম বদল করে রাখা হয় লতা।

আরও পড়ুন:Lata Mangeshkar:প্রয়াত সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর

যতীন্দ্র মিশ্রর বই “লতা সুর গাথা” তে লতা বলেছেন..তাকে ভেবে, “সত্যম শিবম সুন্দরমের” চিত্রনাট্য লিখেছিলেন রাজ কাপুর। অনেক আগে উনি চেয়েছিলেন মুখ্য ভূমিকায় আমি অভিনয় করি। আমার ইচ্ছে না থাকায় আমি না করে দিয়েছিলাম ওই প্রস্তাবে। যদিও ছবি তৈরিতে কোনও বাধা হয়নি। অনেক পরে ৮০ র দশকে যখন আবার ছবিটি তৈরির কথা ভাবেন তখন জিনাত আমানকে নেন ছবিতে।

লতাজির প্রথম উপার্জন ছিল ২৫ টাকা । প্রথম বার মঞ্চে গাওয়ার জন্য লতা ২৫ টাকা উপার্জন করেছিলেন। লতা ১৯৪৪ সালে মারাঠি ছবি ‘কিটি হাসাল’ এর জন্য প্রথম গান গেয়েছিলেন। লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর এবং বোন ঊষা মঙ্গেশকর, মিনা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলে সকলেই সঙ্গীতজ্ঞ।

বলিউডে লতা মঙ্গেশকরকে নিজের ছোট বোনের মত দেখতেন দিলীপ কুমার। আবার লতাও দিলীপ কুমারকে সব থেকে কাছের মানুষ মনে করতেন ইন্ডাস্ট্রিতে। একবার দিলীপ কুমার লতার উপর খুব রেগে গিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে লতা নিজের প্রথম প্রোগ্রাম করছিলেন, যেখানে অনুষ্ঠান শুরু করার জন্য দিলীপ কুমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দিলীপ কুমার নিজের কাজ ভীষণ মন দিয়ে করতেন এবং ছোট ছোট বিষয়ে খুব গুরুত্ব দিতেন। পাকিজা ছবির গান “ইনহি লোগো নে লে লি দুপাট্টা মেরা” এই গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে নিমরাজি ছিলেন তিনি। লতাজিকে দিলীপ কুমার প্রশ্ন করেছিলেন, ” অনুষ্ঠানের শুরুতেই এই গানটি কেন করতে চাইছেন আপনি?” লতা তখন দিলীপ কুমারকে বোঝাবার চেষ্টা করেছিলেন যে এই গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গান এবং মানুষ এটি শুনতে চাইছেন। কিন্তু তখন দিলীপ কুমারকে কোনভাবেই বোঝানো যায়নি। তিনি ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন।

যতীন মিশ্রর বই, “লতা সুর গাথা”তে লতাজি বলেছেন, প্রায়ই রেকর্ডিং করতে করতে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়তাম আমি, আর ভীষণ খিদে পেত আমার। তখন রেকর্ডিং স্টুডিওতে ক্যান্টিন থাকত। তবে নানা রকম খাবার পাওয়া যেত কিনা মনে নেই। তবে চা-বিস্কুট খুঁজে পাওয়া যেত তা বেশ মনে আছে। এক কাপ চা আর দু চারটে বিস্কুট খেয়েই সারাদিন কেটে যেত। এমনও দিন গেছে যে দিন শুধু জল খেয়ে সারাদিন রেকর্ডিং করছি , কাজের ফাঁকে মনেই আসেনি যে ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খাবার খেয়ে আসতে পারি। সারাক্ষণ মাথায় এটাই ঘুরতো যেভাবে হোক নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে আমাকে।

spot_img

Related articles

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...

নওশাদ-সহ আইএসএফ সমর্থকদের জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত

ধর্মতলার কর্মসূচির নামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা। বুধবার গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui)। বৃহস্পতিবার নওশাদ-সহ...

নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু

হুগলির হিন্দমোটরে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া পদক অবশেষে উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে...

মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে তৃণমূলকে নিশানা মোদির, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল

রাজ্যে কয়েকটি মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এ-নিয়ে বৃহস্পতিবারই তিনি এক্স হ্যান্ডলে...