গ্রামীণ অর্থনীতি ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ৯ দফতরকে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাজ্যের

কেন্দ্রের কাছে বিপুল অর্থ প্রাপ্য রয়েছে রাজ্যের। যদিও সেই টাকা দিচ্ছেনা কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt)। তবে রাজ্যের পরিকাঠামো ও উন্নয়নের কাজ যাতে থেমে না থাকে তার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিল সরকার। রাজ্যবাসীর জন্য মানবিক প্রকল্প গুলি চালানো ও গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে মানুষের কর্মসংস্থান ও আর্থিক ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্য নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেহেতু রাজ্যের ৯টি দপ্তরকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। গ্রামীণ অর্থনীতির(Village Economy) প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ ও প্রকল্পগুলির সঠিক বাস্তবায়নে গ্রামীণ উন্নয়ন সম্পর্কিত দফতরগুলিকে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা ও আর্থিক মানোন্নয়নের সঙ্গে জড়িত ৯টি দপ্তরকে মোট ৪৮৬ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। রাজ্যে ‘রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট ফান্ড’ বা ‘RIDF’–এর অধীনে যে প্রকল্পগুলির কাজ চলছে, সেগুলি যাতে ভালোভাবে চলতে পারে, তার জন্যই এই অর্থ। ৯টি দপ্তরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচ্ছে পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তর। প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এখানে। এরপরই রয়েছে পূর্ত দফতর। গ্রামীণ পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির জন্য পূর্ত দপ্তরকে দেওয়া হচ্ছে ১৫৫ কোটি। বিদ্যুৎ দপ্তরকে দেওয়া হচ্ছে ৪০ কোটি। জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়নের জন্য দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দেওয়া হচ্ছে ৩৫ কোটি টাকা, সমবায় দপ্তরকে দেওয়া হচ্ছে ২৫ কোটি টাকা, সেচ পাচ্ছে ২২ কোটি, কারিগরী শিক্ষা, প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে ১৫ কোটি, খাদ্য দপ্তরকে দেওয়া হচ্ছে ১৩ কোটি এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর পাচ্ছে ৬ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:SSC: এসএসসি গ্রুপ-ডি  পদে ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিল করল হাইকোর্ট

উল্লেখ্য, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক প্রশাসনিক বৈঠকের মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন অযথা খরচ করা যাবে না। জরুরী প্রকল্প ছাড়া নয়া প্রকল্প চালু করা হবে না, পাশাপাশি যে প্রকল্পগুলি চলছে তার কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এবার গ্রাম উন্নয়ন সম্পর্কিত দপ্তর গুলিকে আর্থিক বরাদ্দ করল অর্থ দপ্তর।

Previous articleTmc: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের নির্বাচনী কো-অর্ডিনেটর বদল
Next articleSonu sood : হাইরোড থেকে আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন সোনু সুদ