TMC: তৃণমূলে অর্জুনের ভাইপো-সহ ৩ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, বাংলায় বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে: মন্তব্য সৌরভের

বাংলায় বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে, ওখানে কর্মী নেই, সবাই নেতা: তৃণমূলে যোগ দিয়ে মন্তব্য অর্জুনের ভাইপো সৌরভের।

ভাটপাড়ায় অর্জুন-শিবিরে বড় ধাক্কা। টিকিট পেয়েও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (Tmc) যোগ দিলেন অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ভাইপো, ভগ্নিপতি ও ভাগ্নে। আর যোগ দিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ সিং (Sourav Singh)। তিনি স্বীকার করেন, বিজেপিতে (Bjp) যাওয়াটা তাঁর ভুল হয়েছিল। কাকা অর্জুনের কথাতেই তিনি বিজেপিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে কাজ করা যায় না বলে অভিযোগ করেন সৌরভ। তাঁর কথায়, ওখানে কোনও কর্মী নেই, সবাই নেতা। “ওখানে সবাই নেতা হতে যায়”। বাংলায় বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদের ভাইপো সৌরভ।

আরও পড়ুন:Chief Minister: ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দেবেন অনন্ত মহারাজের অনুষ্ঠানে

রবিবার, উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallik) উপস্থিতিতে দলে যোগ দেন অর্জুনের ভাইপো সৌরভ সিং, ভগ্নিপতি সুনীল সিং ও ভাগ্নে আদিত্য সিং। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সাংসদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা অভিযোগ করেন, গেরুয়া শিবিরে থেকে কাজ করা যায় না। ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন তাঁরা। এ কথা বারবার তাঁরা অর্জুন সিং থেকে জেপি নাড্ডা (J P Nadda) সবাইকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞে শামিল হতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানান সুনীল সিংরা।

গারুলিয়া (Garulia) পুরসভার ১৭ নম্বর, ১৮ নম্বর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন সৌরভ, সুনীল ও আদিত্য। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেও তিনজন প্রার্থীপদ ফিরিয়ে দিয়েছেন। শনিবার ছেড়েছেন পদ্মশিবির। ভাটপাড়াকে নিজের গড় বলে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। কিন্তু তাঁর পায়ের তলার মাটি যে আলগা হচ্ছে তা প্রমাণ হচ্ছে এই ধরনের ঘটনায়। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হওয়া পরেও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাই দলত্যাগ করছে। যোগ দিচ্ছে তৃণমূলে। বিরোধীদর কটাক্ষ, নিজের পরিবারের উপরেই যাঁর প্রভাব নেই, তিনি এলাকায় কী প্রভাব বিস্তার করবেন!

Previous articleশিলিগুড়িতে ভোট পরবর্তী জোট! বাম-কংগ্রেস জোট আপত্তি নেই অশোক-অধীরদের
Next articleআগামিকাল উত্তরপ্রদেশে ৫৫ আসনে ভোট, প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ আখ চাষীদের হাতে