ঐতিহাসিকভাবে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সেই বারুইপুর পৌরসভার নির্বাচন। এবারও পৌরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রাজ্যের শাসক দল। বুধবার সকালে দলীয় কর্মিসভায় কুণাল ঘোষ , শওকত মোল্লা, শুভাশিস চক্রবর্তীরা ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়ে ১৭-০ করার কথা বলার পর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত একের পর এক পথসভায় প্রচারে ঝড় তুললেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।

পৌরসভা ভোট উপলক্ষে এদিন দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে বারুইপুরের একাধিক ওয়ার্ডে পরপর প্রচার কর্মসূচী সারেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এদিন মিমি বলেন, “বারুইপুর আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। ভোটে দাঁড়ানোর আগে আমি এখানে আগেও অনেকবার এসেছিলাম, কিন্তু ভোটে দাঁড়ানোর পর যখন এলাম, তখন দেখলাম উন্নয়ন আর উন্নয়ন। শুধু তাই নয়, এখানকার মানুষের আন্তরিকতা, এখানকার মানুষ যেভাবে আমাকে গ্রহণ করেছে তা দেখে আমি আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম।”

এরপরই বারুইপুরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মিমি বলেন, “বিমানদা আমার বড়দাদার মত। আমি গোটা বারুইপুর শহর ঘুরে দেখেছি কীভাবে এখানে উন্নয়ন হয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে এখানে যারা শাসন করেছিল, তারা কিছুই করেনি। কিন্তু এখন বারুইপুরের চেহারাটাই বদলে গিয়েছে। সিপিএম এখানে তৃণমূলকে হারাতে পারেনি, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিধানসভা ভোটের সময় প্রতিদিন এসেও হারাতে পারিনি। আসলে তৃণমূল হারতে জানে না। তৃণমূল লড়াই করতে জানে। বারুইপুরে তৃণমূলের অভিধানে হার শব্দটা নেই। এখানকার মানুষের হৃদয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবারও বারুইপুরের সব ওয়ার্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিতে হবে।”

আরও পড়ুন- প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ থাকলে দলের স্বার্থেই মিটিয়ে ফেলুন : বার্তা ফিরহাদের

