Surajit Sengupta: সুরজিতের স্মৃতিচারণে গৌতম, সত‍্যজিৎ, সুব্রত, দীপেন্দুরা

এয়ারপোর্টে মান্না দে সুরজিৎ কে গান গাইতে বললেন, হাসতে হাসতে সুরজিৎ মান্না দে কে গান শুনিয়ে দিলেন। মান্না দে বললেন কী ভালো গলা তোমার সুরজিৎ। সুরজিতের স্মৃতিচারণে বললেন গৌতম সরকার

প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সুনগুপ্ত ( Surajit Sengupta) । বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন তিনি। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি মৃত‍‍্যকালে বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তার প্রয়ানে শোকস্তব্ধ কলকাতা ময়দান। শোক প্রকাশ প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম সরকার, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত ভট্টাচার্য্য, দীপেন্দু বিশ্বাসের।

সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ভারতবর্ষের ফুটবলে যাকে বলা হত ফুটবলের শিল্পী ( Artists of Soccer)। এদিন এখন বিশ্ববাংলা সংবাদকে তাঁর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়লেন গৌতম সরকার, সত‍্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়রা। এদিন এখন বিশ্ববাংলা সংবাদকে সুরজিৎ সেনগুপ্তের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে গৌতম সরকার বলেন,” এত স্মৃতি কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব। খিদিরপুর থেকে একসঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিলাম। তারপর ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ভারতের হয়ে কত ম‍্যাচ খেলেছি। আজ খুব মনে পড়েছে ওই দিনটার কথা। যেদিন এয়ারপোর্টে মান্না দে সুরজিৎ কে গান গাইতে বললেন, হাসতে হাসতে সুরজিৎ মান্না দে কে গান শুনিয়ে দিলেন। মান্না দে বললেন কী ভালো গলা তোমার সুরজিৎ। এরকম যে কত স্মৃতি। ফুটবলে সুরজিতকে Artists of Soccer বলা হত। মানতে পারছি না ও আর নেই।”

আরেক প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন,” সুরদা নেই মানতে পারছি না। একজন আদর্শ লিডার ছিলেন। তাঁর ফুটবল খেলা দেখার জন‍্য পাগলের মত করত সবাই। মজিদবাস্কর, কৃষানু দে, সুরজিৎ সেনগুপ্ত। এদের পায়ের কাজ বলার মত না। ফুটবলকে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত, তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। কিছুতেই মানতে পারছি না। ওনার মৃত্যু বিশ্বাস করতে পারছি না।”

বাংলার আরেক প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন,” কিছু বলার নেই। সুভাষদার পর সুরজিত দা। পরপর নক্ষত্রপতন। সুরজিতদার চলে যাওয়া বাংলা ফুটবলের ক্ষতি।”

বাংলার আরেক প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য্য বলেন,” খবরটা শোনার পর থেকে ভাবতেই পারছি না। ভাবতেই পারছি না। এত বড় মাপের ফুটবলার ছিল সুরজিত। অথচ ওর চলনে-বলনে কোনওদিন সেটা প্রকাশ পায়নি। ছোট বেলা থেকে আমরা একসঙ্গে খেলে আসছি। বড় হয়েছি একসঙ্গে।”

আরও পড়ুন:Surajit Sengupta: ফুটবলের টানেই জেলা থেকে শহরে পা সুরজিতের

Previous articleNabanna: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য স্বস্তি, সরকারি স্বাস্থ্য স্কিমে যুক্ত করোনার চিকিৎসাও
Next articleআর‌ও ১৪৫ কৃষি সরঞ্জাম সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করবে রাজ্য সরকার