Saturday, August 23, 2025

বিধাননগরে কৃষ্ণাতেই ভরসা, আসানসোল- চন্দননগরে মেয়রের নাম ঘোষণা ফিরহাদের

Date:

Share post:

৪ পুরনিগমের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করার পর শিলিগুড়ি পুরনিগমের গৌতম দেবকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিধান নগর, আসানসোল এবং চন্দন নগর পুরনিগমের মেয়র কারা হবেন তা নিয়ে জল্পনা ছিল, এদিন সেই জল্পনার অবসান ঘটলো জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে। এদিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী বাসভবনে কর্মসমিতির বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, চন্দননগরের রাম চক্রবর্তী এবং বিধান নগরে মেয়র পদে বসছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।

এর আগে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র ছিলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। সব্যসাচী দত্তও মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন। দুজনেই নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কালীঘাটে দেখা করে এসেছেন। এই দুজনের মধ্যে কাকে মেয়র করা হতে পারে তা নিয়ে জোর জল্পনা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণা চক্রবর্তীর নামে সীলমোহর দেয় জাতীয় কর্মসমিতি। পাশাপাশি ডেপুটি মেয়র করা হয়েছে অনিতা মন্ডলকে। এবং বিধান নগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান হয়েছেন সব্যসাচী দত্ত।

আরও পড়ুন:চরমসীমা শেষ হতেই পদক্ষেপ: বাঁকুড়ায় ১০ আলিপুরের ৩ নির্দলকে বহিষ্কার তৃণমূলের

এছাড়া চন্দননগরে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে তিনজনের নাম (রাম চক্রবর্তী, পার্থসারথি দত্ত এবং অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়) শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত রাম চক্রবর্তী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি আসানসোল পুরনিগমে মেয়র হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বিধান উপাধ্যায়কে। এখানে ডেপুটি মেয়র হয়েছেন ২ জন, ওয়াসিমুল হক এবং অভিজিৎ ঘটক। এবং চেয়ারম্যান হয়েছেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়র হিসেবে নতুন মুখদেরই এবার গুরুত্ব দিয়েছে দল।

কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ উপস্থিত ছিলেন কর্মসমিতির ২০ জন সদস্য। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা। মেয়র নির্বাচনের পাশাপাশি চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের দিকে নজর দেখে শুক্রবার তৃণমূলের পদ বন্টন প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছে জাতীয় কর্মসমিতি। সেখানে ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হয়েছেন যশবন্ত সিনহা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সুব্রত বক্সী। সর্বভারতীয় তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র করা হয়েছে সুখেন্দু শেখর রায়(রাজ্যসভা), কাকলি ঘোষ দস্তিদার(লোকসভা) ও মহুয়া মৈত্রকে। গুরুত্ব বাড়িয়ে ফিরহাদ হাকিমকে আনা হয়েছে সমন্বয়কারী পদে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যশবন্ত সিনহা ও অমিত মিত্রকে।

spot_img

Related articles

ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে দেশে, এসআইআর নিয়ে তোপ অমর্ত্য সেনের

এসআইআর-র(SIR) নামে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। এই এসআইআর কিছুটা ভালো করার অজুহাতে বড় রকমের ক্ষতি করার চক্রান্ত।...

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...