গায়ে পড়ে বিরিয়ানি ও জোর করে কোলাকুলি বিদেশনীতি নয়: মোদিকে তোপ মনমোহনের

বিনা নিমন্ত্রণে কারও বাড়ি গিয়ে বিরিয়ানি খেলে আর জোর করে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে কোলাকুলি করলে বিদেশনীতি হয় না। নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) বিদেশনীতি নিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই লাগলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং(Manmohan Singh)। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় মোদির নীতিকে এক হাত নিয়ে তিনি জানালেন, “গায়ে পড়ে বিরিয়ানি খেলে বা জোর করে কোলাকুলি করলেই বিদেশনীতি বোঝা যায় না। দোলনায় দুললেও না। সীমান্ত পেরিয়ে চিন(China) আমাদের দেশের মাটিতে ঢুকে বসে রয়েছে। আর সরকার লাগাতার সেই সত্যিটাকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিদেশনীতি ঠিক করতে নয়া স্টান্ট নিতে দেখা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদিকে। পাকিস্তানে আচমকা বিমান নামিয়ে। নওয়াজ শরিফের নাতনির বিয়েতে একরকম নিমন্ত্রণ ছাড়াই ঢুকে পড়েছিলেন। বলার অপেক্ষা রাখে না বিরিয়ানি প্রসঙ্গ টেনে সে কথাই উল্লেখ করতে চেয়েছেন মনমোহন। পাশাপাশি কোলাকুলির খোঁচাটা রাষ্ট্রনেতাদের বাগে পেলেই জোর করে ‘ঝাপ্পি’ দেওয়ার স্বভাব নিয়ে। দোলনাটা অবশ্য তোলা রয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য। তারপর গালওয়ানের ঘটনা ঘটেছে। আর এই প্রসঙ্গ তুলেই ভারতের আধুনিক অর্থনীতির কাণ্ডারীর বক্তব্য এটা কখনোই বিদেশনীতি হতে পারে না।

আরও পড়ুন:আইসিএসই এবং আইএসসি-র দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা এগোল

শুরু হয়ে গেছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। আর এই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন শুরু হতেই কৃষক আন্দোলন মূল্য বৃদ্ধির মত বিষয়গুলিকে ভুলিয়ে দিতে চেনা ছকে ফিরেছে মোদির ব্রিগেড। সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মোদি। কড়া ভাষায় জানিয়েছেন দেশের যাবতীয় সমস্যার জন্য দায়ী তিনি। এই ইস্যুতেও মোদিকে তোপ দাগতে ছাড়েননি মনমোহন সিং। তিনি বলেন, “ইতিহাসের অপলাপ করবেন না। প্রধানমন্ত্রী পদটার একটা মর্যাদা আছে। ওজন আছে। সব ব্যাপারে জওহরলাল নেহরুকে দায়ী করে ব্যর্থতা ঢাকা যাবে না। কংগ্রেস দেশভাগ করেনি। ব্রিটিশরা করেছিল। আর ইংরেজ শাসকদের সেই বিভাজনের রাজনীতিই আপন করে নিয়েছে বিজেপি। স্বার্থসিদ্ধির জন্য মেরুকরণ চলছে দেশে।”

শুধু তাই নয়, দেশের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ব্যর্থ মোদির নিজের ঢাক পেটানোকে কটাক্ষ করে মনমোহন বলেন, “দশ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। মৌন থাকা, দুর্নীতির অভিযোগ প্রচুর শুনেছি। তাও বিজেপি বা তাদের বি ও সি টিম কিছু করতে পারেনি। আমারও প্রচারের প্রয়োজন পড়েনি। কাজই আমার হয়ে কথা বলেছে। মানুষ বুঝেছে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালই ছিল আচ্ছে দিন।”

Previous articleCorona Update:দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমল,নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণও
Next articleধনকড়কে নিয়ে মামলা খারিজ করল হাই কোর্ট