পাঞ্জাব ভোটের আগে ফের ভিডিও বার্তায় ‘প্রচার’ মোদির, নির্বিকার নির্বাচন কমিশন

প্রধানমন্ত্রীর(Prime Minister) ইচ্ছাই কর্ম। সাম্প্রতিক ভারতের এটাই মৌলিক সত্য। নির্বাচন কমিশন(Election Commission), নির্বাচনী আচরণবিধি সবকিছুই এই সত্যের সামনে মৌন। ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের(Uttarpradesh) চলমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রথম দফা ভোটগ্রহনপর্ব শুরু হবার ঠিক একদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নারেন্দ্রা মোদির(Narendra Modi) ভিডিও সাক্ষাৎকার নিলো একটি বার্তা এজেন্সি। ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ১৪-১৫ ঘন্টা আগে থেকে তার সম্প্রচার শুরু হলো টিভি চ্যানেলগুলোতে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী যা বেআইনি অন্য যে কোনো দলের নেতার ক্ষেত্রে।

রবিবার পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের(Punjab Election) ভোট গ্রহণ। তার ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে, শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর সরকারি আবাস ৭, লোক কল্যাণ মার্গ-এ প্রাতরাশে মিলিত হলেন শিখ ধর্মগুরুদের সঙ্গে। ওই ধর্মগুরুদের মোদি কি বললেন, তার একটি ভিডিও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশ করা হলো। বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া ব্রিগেড তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে দিলো পাঞ্জাবের শহর, গ্রাম গঞ্জে। চ্যানেলগুলোতেও চলতে লাগলো এই ভিডিও। সম্ভবত, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী যা বেআইনি অন্য যে কোনো দলের নেতার ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন:TMC: দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী, অভিযুক্ত বিজেপি নেতার নিরাপত্তারক্ষী!

শিখ ধর্মগুরুদের সঙ্গে এই কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ভারতের জন্ম ১৯৪৭ সালে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই ভিডিওতে তাঁকে বলতে দেখা যায়, “এই দেশের জন্ম ১৯৪৭ সালে হয়নি। আমাদের গুরুরা কত তপস্যা করেছেন………জরুরি অবস্থার সময় আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি……… সেই সময় জরুরী অবস্থার বিরুদ্ধে পাঞ্জাবে সত্যাগ্রহ হত। আমি তখন আন্ডারগ্রাউন্ড ছিলাম। আমি ছদ্মবেশ ধারণ করতাম। লুকানোর জন্য আমি শিখ পাগড়ি পরতাম।” শিখ ধর্মীয় ভাবাবেগ উসকে দিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “কংগ্রেস ভারতের সাথে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরের কর্তারপুরকে একীভূত করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি। আমি কূটনৈতিক পথের মাধ্যমে কথা বলতে শুরু করেছিলাম। আমি যখন পাঞ্জাবে থাকতাম, আমি কর্তারপুর সাহেবকে বাইনোকুলার দিয়ে দেখেছিলাম। তখন আমি ভাবতাম যে আমাদের কিছু করতে হবে। গুরুদের কৃপায় আমরা এই পবিত্র কাজটি করতে পেরেছি। এত অল্প সময়ে আমরা যে কাজটি করেছি তা বিশ্বাস ছাড়া সম্ভব হতো না।” মোদি বলেন, আমি গুজরাটের মানুষ হিসেবে বলতে চাই যে আপনাদের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক রয়েছে কারণ গুরু গোবিন্দ সিং জির পাঁচজন প্রিয়জনের একজন ছিলেন গুজরাটের।” ভোটের ২৪ ঘন্টা আগে ধর্মীয় আবেগ উসকে দেবার এই ভাষণে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই নির্বাচন কমিশনের। কারণ কর্তার ইচ্ছাই কর্ম !

Previous article‘স্বাস্থ্যসাথী’-তে প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারে নয়া নির্দেশিকা, শুরু শোরগোল
Next articleCheteshwar Pujara: রাহানে পারলেও, পারলেন না পূজারা, শূন‍্য রানে আউট হলেন তিনি