Kunal Ghosh: এবার একুশে একুশ: কাঁথিতে বার্তা কুণালের

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কাঁথির মাটিতে দাঁড়িয়ে ‘একুশে একুশ’, আওয়াজ তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ

আগামী রবিবার রাজ্যের ১০৮ টি কেন্দ্রে পুরভোট। জয়ের বিষয়ে সম্পূর্ণ আশাবাদী হয়েও প্রচারে ঝড় তুলছে শাসকদল। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচার করছেন বিভিন্ন কেন্দ্রে। সোমবার, কাঁথিতে একাধিক নির্বাচনী সভা করেন তৃণমূলের (Tmc) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সেখানেই তিনি একুশে একুশ আওয়াজ তোলেন। কাঁথি (Kanthi) পুরসভায় ২১টি ওয়ার্ড। ‘একুশে একুশ’-এর অর্থ বিরোধীশূন্য পুরবোর্ড।

এদিন, একটি দীর্ঘ বর্ণময় পদযাত্রা এবং পরে পথসভা করেন কুণাল। কাঁথির ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপ জানার (Sandip Jana) সমর্থনে প্রচার সভা করেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এই ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে গতবার কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতার ছোট ভাই। “তিনি কীসের ঘোড়ার ডিমের চেয়ারম্যান, যে এবার দাঁড়াতে ভয় পেলেন?” তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।বিজেপিও তাঁকে টিকিট দেয়নি- তীব্র কটাক্ষ কোনালের। গত পাঁচ বছরে যত অভিযোগ উঠেছে, তার অধিকাংশ ঢেউ গিয়ে শেষ হয়েছে অধিকারী বাড়ির চৌকাঠে। এদিন আরও দুটি জনসভা করেন কুণাল।

তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “বিজেপি বলে ভারত মাতা কী জয়”। কিন্তু তাঁরাই মায়ের গা থেকে একটা একটা করে গয়না খুলে বিক্রি করে দিচ্ছে। পেট্রোল থেকে ডিজেল, সার থেকে জীবনদায়ী ওষুধ, ভোজ্য তেল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, সবকিছুর দাম বাড়ছে, এটা একটা সরকার চলছে। তাই এবার ভোট দেওয়ার আগে তিনটি বিষয় ভোটারদের মাথায় রাখার আহ্বান জানান কুণাল। তা হল, কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, রাজ্য সরকারের জনমুখী নীতি, স্থানীয় এলাকার উন্নয়ন। এদিন আদি বিজেপি এবং বামফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকদেরও পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান কুণাল। কুণালের দাবি, “তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে আদি বিজেপি নেতারা সসম্মানে দল করতে পারবেন। কিন্তু বিজেপি জিতলে তৎকাল বিজেপির চাপে, আদি বিজেপি মুছে যাবে। আর বামেরা একটি ওয়ার্ডেও জিতবে না। বামেদের ভোট দেওয়া মানে, ভোট নষ্ট করা।”

তৃণমূলকে সব ওয়ার্ডে জিতিয়ে, কাঁথি থেকে অধিকারীদের মুছে দিয়ে, ইতিহাস তৈরির করারও ডাক দেন কুণাল। এদিন তিনি ১৮ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে পদযাত্রা ও বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। ভোটারদের তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী থেকে পুরমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের। জেলা প্রশাসন থেকে চেয়ারম্যানও এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হবে। কাজেই উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিতে হবে।” সভার অন্যতম বক্তা মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “কোন পরিবারের অঙ্গুলিহেলনে নয়, এবার দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন হবে কাঁথি পুরসভায়।” সভায় বক্তব্য রাখেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ রাহা, প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, প্রাক্তন প্রশাসক হরিসাধন দাসঅধিকারী, উত্তর কাঁথির কো-অর্ডিনেটর তরুণ কুমার জানা-সহ অন্যান্যরা।

আরও পড়ুন- Covid-19: ১২-১৮ বছর বয়সীদের জন্য করবিভ্যাক্স ভ্যাকসিনকে অনুমতি দিল DCGI

 

Previous articleশুরু কন‍্যাশ্রী কাপ, জয় দিয়ে অভিযান শুরু এস বি উইমেন্স এফ সি-র
Next articleআনিস খান হত্যাকাণ্ডে তিন সদস্যের SIT গঠন, নেতৃত্বে IPS জ্ঞানবন্ত সিং