খায়রুল আলম, ঢাকা
রুশ হামলায় ইউক্রেনে নিহত এক বাংলাদেশি। রুশ সেনার গোলা বর্ষণের জেরে গুড়িয়ে গেল বাংলাদেশের জাহাজ ,’এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’। রুশ হানায় একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন আহমেদ সাব্বির।
আরও পড়ুন: Indian in Ukraine: অবিলম্বে খারকিভ ছাড়ুন, ইউক্রেনে থাকা ভারতীয়দের পরামর্শ দূতাবাসের
বুধবারই রুশ সেনার মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের খেরসন। এরপরই রাশিয়া দাবি করে, খেরসেন দখল করেছে তারা। যদিও এব্যাপারে কোনও তথ্য দেয়নি ইউক্রেন। এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিভ দখলে মরিয়া রাশিয়া। যুদ্ধের ৮ দিন কেটে গেলেও কিভ দখলে ব্যর্থ রুশ সেনা। বুধবার রাতে পরপর হামলা হয়ছে। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কিয়েভ। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে চার চারটি বড় বিস্ফোরণ হয় সেখানে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলে মেট্রো স্টেশন, সিটি সেন্টারে। এমনকী, গ্রাউন্ড কমব্যাট ফোর্সের উপরও গোলা বর্ষণ করে মস্কোর সেনা। শুধু কিয়েভ নয়, একের পর এক শহরে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। তার মধ্যে রয়েছে বন্দর শহর অলভিয়াও।
বাংলাদেশের পতাকাবাহী ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান বিএসসি সূত্র জানা গেছে, জাহাজটি কৃষ্ণসাগরের তীরে ইউক্রেনের একটি বন্দর থেকে পণ্য (সিরামিক ক্লে) ভর্তি করে ইতালির রেভেনা বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় ওই বন্দর থেকে পণ্য ‘লোডিং’-এর পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। পরে জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে নোঙর করে রাখা হয়। জাহাজটিতে অন্তত ২৫ দিনের রসদ মজুদ আছে।
জাহাজটি গত ২১ ফেব্রুয়ারি খালি অবস্থায় তুরস্কের এরেগলি বন্দর থেকে অলভিয়া বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। পণ্য লোড করার প্রস্তুতি শুরু করলেও রাশিয়ান আগ্রাসন শুরু হলে পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটিকে বন্দর ছেড়ে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু যেখানে জাহাজটি নোঙর করেছে সেখান থেকে মূল সাগরে আসতে অন্তত ৬০ নটিক্যাল মাইল পথ অতিক্রম করতে হতো, যা স্থানীয় কোনও পথপ্রদর্শক ছাড়া সেটি করা সম্ভব ছিল না। সেকারণে জাহাজটি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জাহাজের কর্মীরাই জাহাজে থাকবেন নাকি বেরিয়ে আসবেন সে বিষয়েও জাহাজের ক্যাপ্টেনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিএসসি সূত্র। তবে জাহাজ থেকে বেরিয়ে গেলে খাদ্য সংকট এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে, সেকারণে জাহাজেই নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে করেন জাহাজের ক্যাপ্টেন। সেজন্যই সেখানে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।আর রুশ ক্ষেপনাস্ত্রের হামলায় গুঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশি জাহাজ ।